বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেওয়া কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মেনে নিয়ে বাংলায় আসতে চলেছে কয়েক লক্ষ করোনা ভাইরাসের টিকা। দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দাবি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে যেন জনসংখ্যার অনুপাতে টিকা সরবরাহ করা হয়। এবারে সেই দাবি মেনে নিয়ে বিদ্যুৎ গতিতে সেই গতিতে কাজ শুরু করল কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই বাংলার জন্য ২১ লক্ষ্য করোনা ভাইরাসের টিকার ডোজ পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নবান্ন সূত্রে খবর, জুলাই মাসে সবার আগেই বাংলাতে এই করোনা ভাইরাসের টিকার ডোজ চলে আসবে। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন গুলির ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে প্রথমে বস্তি এলাকায় এই টিকা দেওয়া শুরু করা হবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এছাড়াও স্বাস্থ্য দপ্তরের আশা, ২১ লক্ষ্য টিকা এসে গেলে বাংলায় যে ভ্যাকসিনের আকাল চলছে সেটা কমে যাবে।
তবে এখনো পর্যন্ত কবে এই ভ্যাকসিন আসবে সেই নিয়ে কোনো নির্দেশিকা জানানো হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। ইতিমধ্যেই বুধবার বিকেলে ৯ লক্ষ্য ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা এসে পৌঁছেছে কলকাতা বিমানবন্দরে। বাকি মোটামুটি ১১ লক্ষ্য টিকা জুলাই মাসে সবার আগে চলে আসবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর। ইতিমধ্যেই সেই টিকা নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই বাকি টিকার ডোজ কবে আসবে সেই তারিখ জানানো হয়নি রাজ্য সরকারকে।
স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজে এই ভ্যাক্সিনেশন নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত এবং এই কারণে তিনি নিজে তদবির করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ভ্যাকসিনের দাবি জানিয়েছিলেন। তারপরেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বিদ্যুৎ গতিতে তার দাবি সম্পন্ন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুটি দাবি জানিয়েছিলেন। একটি টিকা নিয়ে এবং অপরটি পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন নিয়ে। প্রথমটি মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয়টি তিনি কবে মানেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।