নয়াদিল্লি : করোনা আবহে চলতি বছরে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। মার্চ থেকে চলা দেশে জুড়ে কড়া লকডাউনে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ এবন বিশ্ববিদ্যালয়। বিগত পাঁচ মাসে অনিয়মিত পড়াশোনায় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিলো একাধিক পরীক্ষা।
এরমধ্যে আজ জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্যপাল উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তার মতে শিক্ষানীতিতে সরকারের হস্তক্ষেপ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত। এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যপাল ছাড়াও ছিলেন, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও৷
জাতীয় শিক্ষানীতির এই ভার্চুয়াল বৈঠকে মোদি বলেন, “কেন্দ্র, স্থানীয় প্রশাসন-সহ সবাই শিক্ষা ব্যবস্থার দায়িত্বে রয়েছে৷ দেশের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য শিক্ষানীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা জরুরি৷ কিন্তু এটাও ঠিক, শিক্ষানীতিতে সরকারের নাক গলানো বা বেশি পরিমাণে হস্তক্ষেপ উচিত নয়৷ বিদেশ নীতি, প্রতিরক্ষা নীতি যেমন দেশের, সরকারের নয়, তেমনই শিক্ষানীতিও দেশের জন্যই৷ তাই এই নীতি কার্যকর করার জন্য সকলের একসঙ্গে দায়িত্ব নেওয়া উচিত”।
এদিন নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, “ জাতীয় শিক্ষানীতি করা হয়েছে পড়ুয়াদের চিন্তাশক্তি বাড়াতে, প্যাসন বাড়াতে এবং, প্র্যাক্টিক্যালিটি ও পারফর্ম্যান্সের বাড়াতে৷ জাতীয় শিক্ষানীতির ফলে বিশ্বের সেরা আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ক্যাম্পাস খোলা যাবে ভারতে৷ আমরা ভারতকে জ্ঞান অর্থনীতি পরিণত করার কাজ করছি৷ আমরা সবাই চেষ্টা করলে তবেই এটা সম্ভব। এই বিষয়ে অবগত হওয়ার জন্য শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকদের এই নীতির সঙ্গে যুক্ত হতে হবে, তাহলেই এর গুরুত্ব সম্পর্কে সবাই আরও অবগত হবেন”।