বিশ্বভারতীর সমাবর্তন সভায় দেশের অখন্ডতা প্রশ্নের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবনাকে তুলে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।করোনা আবহে এবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যুক্ত হলেন। নরেন্দ্র মোদী আম্রকুঞ্জ এর সমাবর্তনে যোগ দিলেন এবং বললেন, “কবিগুরুর কাছে বিশ্বভারতী ছিল সংস্কৃতির শীর্ষ যাওয়ার জায়গা। আমাদের এখন নিজেদের দিকে তাকানোর সময় এসেছে। ভারতের বিবিধতার কথা বলেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিগুরু বিশ্বভারতীতে বিশ্বমানব কে দেখেছিলেন।”
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী কবিগুরুর, “হে মোর চিত্ত” কবিতার লাইন পাঠ করে শুনিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি রবীন্দ্র কবিতা পাঠ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “সব সময় মনে সদর্থক চিন্তা রাখতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত মহত্বপূর্ণ।গুরুদেব আমাদের শিখিয়েছেন সদর্থক ভাবনা সব সমস্যার সমাধানের পথ।”
দেশের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “আমাদের নতুন শিক্ষানীতি আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। যে যার ভাষায় শিক্ষা নিতে পারবেন। থাকছে কর্মভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থা। আমাদের এখন ভাবনার সময় এসেছে। এই নতুন শিক্ষা নীতি প্রয়োগ করে আমরা মেয়েদের শিক্ষায় বেশি পরিমাণে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করছি। দেশের নতুন শিক্ষানীতি দেশকে পথ দেখাবে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে নতুন শিক্ষানীতি অত্যন্ত প্রয়োজন। নতুন গবেষণার জন্য আগামী ৫ বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে কারিগরি শিক্ষায় শামিল করা হবে ছাত্রীদের। ডিগ্রী কোর্স থেকে বিরতি নেওয়ার স্বাধীনতা থাকছে।”