৭২ ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে মোদির ছবি, কমিশনে বড় জয় তৃণমূলের
নির্বাচনী বিধি নিষেধ জারি হয়ে যাবার পরে সরকারি কাজের জন্য কোন রাজনৈতিক নেতার ছবি অথবা পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। যদি সেরকম করা হয় তাহলে সেটা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের মধ্যে একটি হবে।
ভোটের নির্ঘণ্ট ও ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়েছে এবং প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচনী ময়দানে নামতে চলেছে। তারই মধ্যে এবার নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই তাদের কোড অফ কন্ডাক্ট জারি করে দিয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনী বিধি নিষেধ জারি হয়ে যাবার পরে সরকারি কাজের জন্য কোন রাজনৈতিক নেতার ছবি অথবা পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। যদি সেরকম করা হয় তাহলে সেটা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের মধ্যে একটি হবে। আর এই নিয়ে এবারে বেশ কিছুটা চাপে পড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি।
নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে দিয়েছে, যদি কোনো রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে কোন রাজনৈতিক নেতার ছবি লাগাতে চায় তাহলে তা হতে হবে শুধুমাত্র তাদের পার্টি অফিসে। কোন সরকারি ক্ষেত্রে এরকম ছবি ব্যবহার করা যাবে না। তাও পার্টি অফিসে ছবি লাগাতে হলেও সমস্ত ধরনের পার্মিশন আগে থেকে গ্রহণ করতে হবে। পেট্রোল পাম্প এবং করোনাভাইরাস টিকাকরণ এর শংসা পত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বড় বড় করে ছবি দেওয়া থাকে। পেট্রোল পাম্পে থাকে বিশালাকৃতির ব্যানার এবং বড় বড় পোস্টার। নির্বাচন কমিশনের কড়া নির্দেশ আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ঐ সমস্ত পোস্টার এবং ব্যানার সরিয়ে ফেলতে হবে। পাশাপাশি করোনাভাইরাস টিকাকরণ শংসাপত্র থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ছবি সরিয়ে ফেলতে হবে।
করোনা ভাইরাসের টিকা করন কর্মসূচিতে যারা টিকা গ্রহণ করছেন তাদেরকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট প্রদান করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। সেই ডিজিটাল সার্টিফিকেট এর বড় বড় করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি দেওয়া আছে। পাশাপাশি সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি ঘোষণা হয়ে গিয়েছে সেখানে কিভাবে এইরকম ভাবে প্রচার চালানো সম্ভব? বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তক্ষেপের আর্জি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস।
দলের রাজ্যসভার সংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek o’Brien) বলেন, “আমরা এই সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছি। নির্বাচনের সম্পূর্ণ দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাবার পরেও কো উইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী যেভাবে নিজের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এই মর্মে কড়া হস্তক্ষেপের আশা করছি।” এই মর্মে তৃণমূলের আর এক হেভিওয়েট নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানান। তাতে সাড়া দিয়ে নির্বাচন কমিশন আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে পেট্রল পাম্প থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যানার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, করনা টিকাকরণর ডিজিটাল সার্টিফিকেট থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।