“জোরসে ছাপ, তৃণমূল সাফ”, ব্রিগেড সমাবেশ থেকে হুংকার মোদির
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের মতো এবারের বিধানসভা নির্বাচনের জন্যও নরেন্দ্র মোদি নতুন স্লোগান বেঁধে দিলেন
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। এরইমধ্যে আজ কলকাতার ময়দানে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের দিকে নজর রয়েছে গোটা বঙ্গবাসীর। মোদির উপস্থিতিতে কলকাতার ময়দানে এক প্রকার জনপ্লাবন নেমেছে। আর মোদির সাথে সমাবেশে এনার্জি ফিরিয়ে এনেছে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর দিলীপ ঘোষের হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান। কিছুক্ষণ আগেই ব্রিগেড সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত হয়েছেন। তিনি সমাবেশে উপস্থিত হয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধারে যেমন কটাক্ষ করলেন ঠিক অন্যদিকে ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষদের জন্য ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতি করলেন।
রেসকোর্সে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির হেলিকপ্টার অবতরণ করার পর বেলা আড়াইটে নাগাদ তিনি ব্রিগেড সমাবেশে পৌঁছান। সেখানে পৌছে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, “বাংলা পরিবর্তনের জন্য দিদির ওপর ভরসা করেছিল। কিন্তু দিদি সেই আশা রাখতে পারেনি। ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। দিদিকে আমি অনেকদিন আগে থাকতেই চিনি। আমি আগে যেই দিদিকে চিনতাম এখন সেই দিদি আর নেই। তবে আমরা বাংলার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাল যে তারা এখনও তাদের পরিবর্তনের আশা ছাড়েনি।” আবার সেই সাথে দিদির বিরুদ্ধে রসিকতা ভরা কটাক্ষ করে বলেছেন, “স্কুটার চালিয়ে দিদি নবান্ন থেকে ফিরছিলেন সেদিন যদি রাস্তায় পড়ে যেত তাহলে কি কেলেঙ্কারি হত। তখন আবার স্কুটার বানানোর রাজ্যকে তিনি শত্রু বা নিয়ে বসতেন।”
শাসক দলের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এদিন বাম কংগ্রেস জোটকে একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “বামেরা এর আগে বলতো যে কংগ্রেসের কালো হাত ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেবে। এখন তারা কংগ্রেসের হাত ধরে ঘুরছে। কংগ্রেসের কালো হাত ফর্সা হয়ে গেল নাকি।”এছাড়াও তিনি এদিন সরাসরি বঙ্গবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, “খেলা হবে না। খেলা শেষ। খেল খতম। তৃণমূলের খেল খতম।” এছাড়াও ২০১৯ এর মত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোটের জন্য নতুন স্লোগান বেঁধে দিয়েছেন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির শ্লোগান ছিল, “চুপ চাপ পদ্মে ছাপ”। এবারে একুশে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ব্রিগেড মঞ্চ থেকে গেরুয়া শিবিরের নতুন স্লোগান দিয়েছেন, “জোরসে ছাপ তৃণমূল সাফ”।