বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে ‘দ্বিতীয় পৃথিবী’র সন্ধান নিয়ে আশার আলো দেখাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানীরা
বর্তমানে নাসার অবসরপ্রাপ্ত কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ একটি মিশনে কাজ করে চলেছে। বুধবার, নাসা ঘোষণা করেছে যে, কেপলারের দেওয়া তথ্য অনুসারে একটি লুকিয়ে থাকা গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে যা হুবহু আমাদের পৃথিবীর মতোই। কেপলারের জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে ২০১৮ সালে তা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তবে বিজ্ঞানীরা এখনও আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত গ্রহগুলির আবিষ্কারের বিষয়ে কেপলারের দেওয়া তথ্য পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন।
কেপলার – ১৬৪৯সি পৃথিবী থেকে ৩০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। কেপলার আবিষ্কারকৃত হাজারো এক্সোপ্ল্যানেটের মধ্যে নাসা এই গ্রহটিকে আকারের ও ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রার দিক থেকে পৃথিবীর অনুরূপ বলে বর্ণনা করেছেন। গ্রহটি নক্ষত্রের কাছাকাছি অবস্থিত। এটি এমন একটি অঞ্চলে রয়েছে যেখানে জল জাতীয় তরলের অস্তিত্ব পাওয়া সম্ভব বলে করছেন বিজ্ঞানীরা।
A whole new world! An Earth-size exoplanet has been found orbiting in its star’s habitable zone, the area around a star where a rocky planet could support liquid water.
Find out about this intriguing discovery by our @NASAExoplanets Kepler mission: https://t.co/PfEUtiJPX6 pic.twitter.com/4FZW2tVgGf
— NASA (@NASA) April 15, 2020
কেপলার স্পেস টেলিস্কোপটি অপেশাদার বিজ্ঞানীদের ‘গোল্ডিলকস জোনে’ অস্বাভাবিক নতুন গ্রহের সন্ধানে সহায়তা করে। নাসার দেওয়া তথ্য অনুসারে আকর্ষণীয় এই এক্সোপ্ল্যানেটটি পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা বড়। এটি তাদের নিজস্ব নক্ষত্র থেকে যে পরিমাণ আলো পায় তার ৭৫ শতাংশ শোষণ করতে পারে। যা এটিকে পৃথিবীর তাপমাত্রার সাথেও সামঞ্জস্য রাখতে সাহায্য করে। গ্রহটি মূলত কম্পিউটার অ্যালগরিদম দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে কেপলারের তথ্য পর্যালোচনার সময় বিজ্ঞানীদের একটি দল এটি খুঁজে পায়। নাসার বিজ্ঞানীরা একে ‘দ্বিতীয় পৃথিবী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এখানে অনায়াসে মানুষ বসবাস করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তারা।