দেশনিউজ

বংশানুক্রমিক ঐতিহ্য বজায় রাখতে নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি দিতে চান নাটা মল্লিকের ছেলে

Advertisement

নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি দিতে চান নাটা মল্লিকের ছেলে, তার কথায় তার মেয়ে নেই, কিন্তু এই যে ছোট ছোট মেয়েরা প্রতিনিয়ত ধর্ষকদের কামনা-বাসনার শিকার হচ্ছে তাদেরকে তিনি শাস্তি দিতে চান।

সকলে তাকে নাটা মল্লিকের ছেলে হিসেবে চিনলেও তার আসল নাম মহাদেব মল্লিক। হায়দ্রাবাদের ঘটনা তাকে বেশ নাড়া দিয়েছে তার বক্তব্য পশুচিকিৎসকের যেভাবে অত্যাচার করে পুড়িয়ে মারা হয় এবং যারা এই পাশবিক কাজটি করেছেন তারা এক একটি পশু। এই ধর্ষকদের যে এনকাউন্টার করে মারা হয় তাতে তিনি সাড়া দিয়েছেন এবং তিনি এটাও বলেছেন তার জায়গায় যদি তিনিও থাকতেন তিনিও সেই একই কাজ করতেন।

নির্ভয়া কাণ্ডের দোষী ধর্ষকদের আর্জি মেনে নেননি। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং তিনি খুব তাড়াতাড়ি এই দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কথা বলেছেন। আগে মৃত্যুদণ্ড ইলিশ এই কাজটি করতেন নাটা মল্লিক কিন্তু তার মৃত্যুর পরে এই দায়িত্ব বর্তেছে তার ছেলে মহাদেব মল্লিকের তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় যদি সত্যি সত্যি অপরাধীদের সাজা মৃত্যুদণ্ড হয় তাহলে কি তিনি সেটা করবেন উত্তরে তিনি একেবারেই রাজি হয়ে গেছেন।

যদিও ধনঞ্জয়ের উপরে এই পরিবার ভেবে নিয়েছিল তার আর কোন ফাঁসি দেবে না কিন্তু এই নির্ভয়া কাণ্ডের ধর্ষকদের ফাঁসি দিতে একবাক্যে রাজি। আগে বাবার সঙ্গে ধনঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের সহযোগিতা করেছিল মহাদেব। কিন্তু তারপরে তিনি আর কোন ফাঁসি দেন নি তিনি পুরসভার এক অস্থায়ী কর্মচারী।

ফাঁসি দেওয়া টা তাদের বংশের পরম্পরায় চলে আসছে, তার দাদু ছিলেন শিবলাল তিনি ফাঁসি দিয়েছিলেন ব্রিটিশ আমলে প্রায় ৬০০ জনকে। শোনা যায় মাস্টারদা সূর্যসেনের ফাঁসি হয়েছিল তার হাতে। ১৯৯১ সালে তার ফাঁসি দেওয়ার প্রথম হাতে খড়ি কার্তিক শৈল, সুকুমার বর্মন কে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে তারপরই তিনি ধনঞ্জয়ের ফাঁসির সময় বাবাকে সাহায্য করেছিলেন।

তার কোন কন্যা সন্তান নেই, তার দুটি পুত্র সন্তান একজনের বয়স ১৯ এবং আরেকজন ২১ বছর তাদের কারোরই অবশ্য পরবর্তীকালে দাদু বাবার ঐতিহ্যকে বই নিয়ে যাওয়ার কোন ইচ্ছা নেই তবে ছোট ছেলে বাবার সঙ্গে যেতে ইচ্ছা প্রকাশ করে।

Related Articles

Back to top button