গত দুই দশকের ইতিহাসে এই প্রথমবার রাফায়েল যুদ্ধবিমান তথা প্রথম বিদেশী যুদ্ধবিমান হাতে এসেছে ভারতীয় বায়ু সেনার। দেশে প্রবেশ করে সেটি ছুঁয়েছে পাঞ্জাবের আম্বালা বিমানঘাঁটির মাটি। জানা গিয়েছে আগামী মাসে এগুলিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
কিন্তু, সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন যে এই ফরাসি বিমানগুলির ঘাঁটি হিসেবে কেন আম্বালাকেই বেছে নেওয়া হল। স্বাধীনতা লাভের পর দেশের প্রথম বায়ুসেনা ঘাঁটি হল আম্বালা। ভারতের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থার ইতিহাসে একাধিক স্বর্ণখচিত অধ্যায়ের সাক্ষী রয়েছে এই ঘাঁটি।
তবে এই বিমানঘাঁটির জনপ্রিয়তার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন-
* এয়ারবেসটির কৌশলগত অবস্থান। পাকিস্তান ও চীন এই দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত থেকেই সমান দূরত্বে অবস্থিত এই বায়ুসেনা ঘাঁটি। যার ফলে ভারতের পশ্চিম ও উত্তরে একইসঙ্গে অপারেশন চালাতে সক্ষম হয় বায়ুসেনা।
* আম্বালায় রাডার, নজরদারি ব্যবস্থা ও মজবুত অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফট সিস্টেম রয়েছে। ফলে শত্রু দেশের পক্ষে সেখানে হামলা চালানো অত্যন্ত কঠিন।
* চীন থেকে এটি বেশ অনেকটাই দূরে হওয়ায় বিমানঘাঁটির উপর লালফৌজ সেভাবে নজর রাখতে সক্ষম হয় না।
উল্লেখযোগ্য, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সের ৯৯ স্কোয়াড্রন বায়ুসেনা ঘাঁটিতেই আশ্রয় নিয়েছিল। এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও ব্যবহার করা হয় এই বিমানঘাঁটিকে। শুধু তাই নয় ভারতীয় বায়ুসেনার জাগুয়ার বোমারু বিমান, মিগ-২১ বাইসন বিমানগুলির অন্তর্ভুক্তিও এখানেই হয়। একইসাথে সুখোইয়ের মতো অত্যাধুনিক ফাইটার জেট রয়েছে এই ঘাঁটিতে।
তবে জানা গিয়েছে রাফায়েলের দ্বিতীয় পর্যায়ের এয়ারক্রাফটগুলির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা এয়ারবেসকে। এই বুধবার রাফায়েলের প্রথম ব্যাচের ৫টি ফাইটার জেট নিয়ে বায়ুসেনার পাইলটরা প্রবেশ করেন দেশের আকাশে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের ধারণা ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি বাড়াতে সক্ষম হবে এই রাফায়েল জেট।