সাহিত্য জগতের এক নক্ষত্র নবনীতা দেবসেন, চলুন জেনেনিন তাঁর সম্পর্কে
শ্রেয়া চ্যাটার্জি : বল কি কি থেকে মুছে ফেলবি আমায়? তোর ল্যাপটপ তোর প্রোফাইল তোর ইনবক্স তোর মোবাইল? মুছতে পারবি সেই ঠান্ডা হাসি?
না সত্যি বোধহয় মোছা যায় না। নবনীতা আমাদের মনের মনিকোঠায় রয়ে গেছেন। সাহিত্য জগতে তার অবদান সত্যিই ভুলে যাবার নয়। তিনি হয়তো শারীরিকভাবে নেই কিন্তু প্রত্যেকটা সাহিত্যপ্রেমী মানুষের মনে তিনি কিন্তু রয়েই গেছেন।
দক্ষিণ কলকাতার হিন্দুস্তান পার্কে বাবা-মার ভালোবাসা গৃহে জন্মগ্রহণ করেন নবনীতা। পিতা নরেন্দ্র দেব ও মাতা রাধারানী দেবী সে যুগের বিশিষ্ট কবি দম্পতি ছিলেন। এক বিশেষ সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে তিনি বড় হয়ে ওঠেন। বাংলা, ইংরেজি, ছাড়াও তিনি হিন্দি, উড়িয়া, অসমীয়া, ফরাসি, জার্মান এবং হিব্রু ভাষা গুলি পড়তে থাকেন। গোখলে মেমোরিয়াল, লেডি ব্রেবোর্ন, প্রেসিডেন্সি কলেজ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা ও গবেষণা করেন। ১৯৭৫ থেকে ২০০২ তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।
পুরস্কারের তালিকা টাও নেহাত কম নয়, ২০০০ সালে পান পদ্মশ্রী এবং সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার পান ১৯৯৯ সালে, কমলকুমার জাতীয় পুরস্কার পান ২০০৪ সালে।
১৯৫৯ সালে তাঁর কাব্যগ্রন্থ প্রথম প্রত্যয় এবং প্রথম উপন্যাস আমি অনুপম প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে। জীবনসঙ্গী হিসাবে তিনি পেয়েছিলেন বিখ্যাত নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন কে। তার দুই কন্যা জ্যেষ্ঠা অন্তরা সাংবাদিক ও সম্পাদক এবং কনিষ্ঠা নন্দনা যিনি অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী।
গতকাল অর্থাৎ ৭ই নভেম্বর ২০১৯, ৮১ বছর বয়সে দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি কলকাতার নিজের বাড়িতে প্রয়াত হন। আমরা প্রত্যেকে তার আত্মার শান্তি কামনা করি।