কৌশিক পোল্ল্যে: ভারতের প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া নেহা ধুপিয়া 2002 সালে মিস ইউনিভার্সে নিজের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করেন। এরপর বলিউডে বিভিন্ন ছবি করে থাকলেও ফেম ও লাইমলাইট থেকে বেশ খানিকটা আড়ালেই ছিলেন নেহা। ‘কায়ামত’ ছবির পর তাকে মুখ্য অভিনেত্রীর ভূমিকায় বিশেষ দেখা যায়নি।
এরপর জনপ্রিয় টিভি শো রোডিজ এ তিনি গ্যাং লিডার হিসেবে নিযুক্ত হন। পরপর দুটি সিজন তিনি চ্যাম্পিয়ন লিডার এর তকমা পান। এর পরপরই তিনি হঠাৎ বিয়ে করে সকলকে চমকে দেন। অভিনেতা অঙ্গদ বেদীর সঙ্গে বিয়ের একবছরের মধ্যেই একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন নেহা। এরপর আবারো রোডিজে তিনি একইপদে পরের সিজনে ফিরে আসেন। এবারের সতেরো তম সিজনটির ইতিমধ্যেই টেলিকাস্ট শুরু হয়ে গিয়েছে। এর তৃতীয় এপিসোডে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা নিয়েই ঘটল বিপত্তি।
আরও পড়ুন : তুলকালাম কান্ড! শ্রীময়ীর সেটে জুন আন্টিকে প্রকাশ্যে চড় মারলেন ইন্দ্রানী হালদার
করন কাপুর নামক এক জনৈক প্রতিযোগী ইন্টারভিউ রাইন্ডে জানান তিনি তার প্রমিকাকে চড় মারেন কারন সেই প্রেমিকার সঙ্গে একই সময় আরও পাঁচটি ছেলে সম্পর্কে জড়িয়েছিল। এই ইস্যুতে প্রতিযোগীর ওপর ফেটে পড়েন নেহা। বাকি গ্যাং লিডার সহ হোস্ট রনবিজয় সিংহও তাল মিলিয়ে একই সুরে কথা বলতে থাকেন। শেষে প্রতিযোগীর শো এ প্রবেশিকাও নাকচ হয়ে যায়। যেহেতু নেহার বক্তব্য, একটি মেয়ের পাঁচটি প্রেমিক থাকতেই পারে, সেক্ষেত্রে তাকে চড় মারার অধিকার কারোর নেই।
এরকম মন্তব্যেই সরব হল নেটদুনিয়া। নেহাকে নিয়ে একের পর এক ট্রোল আসতে শুরু করে সোশ্যাল ওয়ালে। নেটিজেনদের কথায়, এরকম একতরফা বিচার কোনো বিচারককেই মানায় না। এক্ষেত্রে তিনি যা করেছেন তা ফেক ফেমিনিজম ছাড়া কিছুই নয়। ট্রোলের পরিমান উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় নেহা তার সোশ্যাল অ্যাকাউন্টের কমেন্টবক্সটি মিউট করে দেন। হেলিকপ্টার ইলা, তুমহারি সুলু ছবিগুলিতে তাকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। সদ্যই মুক্তিপ্রাপ্ত শর্টফিল্ম ‘দেবী’তে তাকে শেষ দেখা গিয়েছে।