এক গৃহবধূকে ধর্ষনের অভিযোগে কিছুদিন আগে জেলে গিয়েছিল এক যুবক। কিন্তু জেল থেকে বেরিয়ে সেই বধূকে আবার ধর্ষনের অভিযোগ ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘিতে। এই ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য। নির্যাতিতরা দাবি বারবার পুলিশের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ জানানো হলেও তারা কোনোভাবেই অভিযোগ গ্রহণ করতে চাইছেন না, বরং বারবার তাদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। অবশেষে রাস্তা না দেখে তারা হাজির হয়েছেন রায়দিঘির প্রাক্তন বিধায়ক কান্তি গাঙ্গুলির কাছে। তিনি তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
নির্যাতিতার অভিযোগ তার স্বামী বাইরে দিনমজুরের কাজ করেন। তাই তাকে সাধারণত বাইরেই বেশি থাকতে হয়। কলকাতায় থাকার কারণে তার বাড়িতে স্ত্রী এবং সন্তান একা থাকে। সেই সুযোগ নিয়ে তাদের প্রতিবেশি মিলন শিকারি ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে ওই যুবকের মা থানায় রাঁধুনির কাজ করে বলে ও নির্যাতিতার অভিযোগ পুলিশ তার অভিযোগ গ্রহণ করতে চাইছে না।
পুলিশের বিরুদ্ধে ওই নির্যাতিতা অভিযোগ এনেছেন, তারা তার কেস গ্রহণ করতে টালবাহানা করছে। এরপর পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েও কোনও বিচার মেলেনি বলে তার অভিযোগ। অবশেষে আলিপুর ক্রিমিনাল আদালতে গিয়ে বিচার চান তিনি। সেখানে দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার হন মিলন নামের ওই যুবক।
কিন্তু জেল থেকে বেরিয়ে আবার ওই বধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে মিলনের বিরুদ্ধে। পাশের বাড়ি থেকে বার বার কেস তুলে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও নির্যাতিতার অভিযোগ। তার পরিবারের দাবি বারবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও তারা কোন কেস গ্রহণ করতে চাইছেন না। তাই অসহায় নির্যাতিত এখন অথৈ জলে পড়েছেন। পুলিশের দাবি, নতুন করে অভিযোগ পেলে আবারো খতিয়ে দেখা হবে। কিন্তু সেটা কবে, সেটা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।