নিউজToday Trending Newsআন্তর্জাতিক

Earthquake in Nepal: রাতের ভূমিকম্পের বিভষিকায় বিধ্বস্ত নেপাল, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৮

নেপালের এই ভূমিকম্পের কারণে উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

Advertisement

গতকাল রাত্রে জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল উত্তর ভারত নেপালের একটা বিস্তীর্ণ এলাকা। রিতার ছেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৪। এখনো পর্যন্ত নেপালের এই ভূমিকম্পের মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১২৮ জনের। নেপালের এই ভূমিকম্পে শুধুমাত্র নেপাল নয় কেঁপে উঠেছিল দিল্লি উত্তর প্রদেশ উত্তরাখণ্ড বিহার এবং উত্তর ভারতের একাধিক এলাকা। ভারতে এখনো পর্যন্ত হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও নেপালে মৃতের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে ভূমিকম্পের জেরে বহু জায়গার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই আবহে রাত থেকে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ১২৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং জানা গিয়েছে আরো বহু মানুষ এই ভূমিকম্পে আহত রয়েছেন। তাদের অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা চলছে বলে জানা যাচ্ছে।

ভারতের জাতীয় ভূতাত্বিক কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয় শুক্রবার রাত ১১ টা ৩২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে নেপালে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পশ্চিম এবং উত্তর পশ্চিম দিকে ৩৩১ কিলোমিটার দূরে ছিল এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়। ভারত সীমান্ত থেকে ভূমিকম্পের উৎস স্থল ছিল কাছেই এবং সেই কারণেই দিল্লি উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের মতো উত্তর ভারতের বহু জায়গা এই ভূমিকম্পের ফলে কেঁপে ওঠে। উত্তরাখণ্ডের পৃথোরাগড়ের পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বে ২০৮ কিলোমিটার এবং যোশী মঠের দক্ষিণ পূর্বে ৩১৭ কিলোমিটার দূরে ছিল এই কম্পনের উৎস স্থল। ফলে স্বভাবতই উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রভাব পড়েছিল।

প্রসঙ্গত গত এক মাসের মধ্যে নেপালে তিনটি জোরালো ভূমিকম্প হয়ে গিয়েছে। এর আগে গত ২০১৫ সালে নেপালে ভয়াবহ একটি ভূমিকম্প হয়েছিল এবং তাদের মৃত্যু হয়েছিল ৯০০০ মানুষের। সেই ভূমিকম্পের ফলে আহত হয়েছিলেন ২২ হাজার মানুষ। ২০১৫ সালের সেই ভূমিকম্পের পর এত বড় ভূমিকম্প আর হয়নি নেপালে। তবে গতকালের সেই ভূমিকম্প আবারও ২০১৫ সালের স্মৃতি তাজা করে দিয়েছে নেপালের অধিবাসীদের মনে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাতেই জরুরী ভিত্তিতে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। নেপালের রুকুম জেলায় বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। রাতের দিকে যাযারকোর্টের জেলা আধিকারিক সুরেশ কুমার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বহু আহত মানুষকে উদ্ধার করেছেন। বহু মানুষকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর মিলেছে।

Related Articles

Back to top button