এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টি শেষে তাপমাত্রার পারদ ফের চড়তে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। এর মাঝেই বড় আপডেট এল আবহাওয়া অফিসের সূত্রে। মে মাসের শেষেই ফের বাংলায় ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে নতুন ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)। এর আগে গরম কালে আয়লা, আমফান, যশ এর মতো ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহ রূপ দেখেছে বাংলা। এবার ফের এক ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে বলে খবর হাওয়া অফিসের তরফে।
জানা যাচ্ছে, অতি শক্তিশালী এই সাইক্লোনের নাম রাখা হয়েছে রেমাল। মে মাসের শেষেই আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এর আগের আয়লা, আমফানের চেয়েও বেশি শক্তিশালী হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। অর্থাৎ আরো বেশ ধ্বংসলীলা চালানোর সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। হাওয়া অফিসের খবর, আগামী ২০ মে থেকে এই ঝড়ের গতিপথ ক্রমশ স্পষ্ট হতে শুরু করবেন ঠিক কোন জায়গায় কত গতিবেগে আঘাত হানবে এই ঘূর্ণিঝড় তাও জানা যাবে।
আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, আগামী ২৪ মে থেকেই শক্তি বাড়িয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে থেকে স্থলভাগের দিকে আসবে। মনে করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ উপকূলে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে এর ভয়াবহতা, গতিবেগ সম্পর্কে এখনই কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। থেকে থেকে স্থলভাগের দিকে আসবে। মনে করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ উপকূলে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে এর ভয়াবহতা, গতিবেগ সম্পর্কে এখনই কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সাধারণত এই সময়টাতেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ দেখা যায় বাংলার উপরে। ২০০৯ সালে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আয়লার স্মৃতি এখনো টাটকা মানুষের মনে। ঘন্টায় ১২০ কিমি বেগে ওই ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বাংলার প্রায় ১৫০ জনের প্রাণ গিয়েছিল। ২০২০ সালে আয়লার ভয়াবহ স্মৃতি ফিরিয়ে আনে আমফান। প্রায় ৮০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল ওই ঝড়ে। আমফানের পরেই যশেরও তাণ্ডব দেখেছিল বাংলার মানুষ। এবার ফের রেমাল কী রূপ নিয়ে আসে সেই দিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।