হাজার হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে সীমান্তে সৃষ্ট উত্তেজনার অবসান ঘটাতে। চীনের সাথে কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে আলোচনার জন্য মোতায়েন রয়েছে আধিকারিকরা। ফলে চীন সীমান্তে সম্মুখ সমর আটকাতে মার্কিন মধ্যস্থতার কোনও প্রয়োজন নেই বলে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল ভারত। চলতি মাসের গোড়ার দিকে সিকিম ও লাদাখ সেক্টরে কয়েকশ সেনা মোতায়েন করার পরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাই উভয় পক্ষই অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করেছে, বিশেষ করে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায়। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা এলএসি-র স্থিতাবস্থা রদবদলের যে কোন একতরফা চেষ্টার বিরোধিতা করবে।
সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি নিয়ে চীনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যে। ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব ভার্চুয়াল নিউজ ব্রিফিংয়ে বলেন যে, উভয় পক্ষই উত্তেজনা নিরসনে বিভিন্ন পর্যায়ে নিযুক্ত রয়েছে। তবে নয়াদিল্লি সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সুরক্ষায় কোনও আপস করবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত ও চীনের মধ্যস্থতা করার প্রস্তাবের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি আগেই আপনাদের বলেছি, আমরা এই সমস্যাটি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে চাইছি।’ তিনি আরও বলেন, ভারত ও চীন সেনাবাহিনী ও কূটনৈতিক পর্যায়ে সীমান্ত অঞ্চলে উদ্ভূত পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে। বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্যেই সমাধান হবে। তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার কোন প্রয়োজন নেই।