১ জুন থেকে চালু হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের নতুন নিয়ম। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আবেদনকারীদের আর রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে না। পরিবর্তে, তারা অনলাইনে একটি কোর্স সম্পন্ন করবেন এবং একটি অনলাইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন। আবেদনকারীদেরকে সড়ক নিরাপত্তা, যানবাহন চালানোর নিয়মকানুন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে একটি অনলাইন কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। এই কোর্সটি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত একটি ওয়েবসাইটে উপলব্ধ থাকবে।
কোর্স সম্পন্ন করার পর, আবেদনকারীদেরকে একটি অনলাইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এই পরীক্ষায় কোর্সে শেখানো বিষয়গুলির উপর বহু-নির্বাচন প্রশ্ন থাকবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি পাবে। নতুন নিয়মের অধীনে, লার্নার্স লাইসেন্সের জন্য ১৫০ টাকা খরচ হবে, যখন লার্নার লাইসেন্স পুনঃপরীক্ষার জন্য আবেদনকারীদের ৫০ টাকা দিতে হবে। ড্রাইভিং টেস্টের জন্য ৩০০ টাকা চার্জ করা হবে, এবং
২০০ টাকা ফি নেওয়া হবে একটি চালকের লাইসেন্স প্রদান করতে। এই ফিগুলি প্রসেসিং অ্যাপ্লিকেশন এবং পরীক্ষা পরিচালনার সাথে যুক্ত প্রশাসনিক খরচগুলি কভার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। হালকা যানবাহনের জন্য লাইসেন্সের জন্য ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং ভারী যানবাহনের জন্য ২১ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে জরিমানা বৃদ্ধি করা। যদি কোনও নাবালক গাড়ি চালাতে ধরা পড়ে তবে ২৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হবে এবং গাড়ির মালিকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। এছাড়াও ওই নাবালক ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যোগ্য হবে না। এই কঠোর পদক্ষেপটি অপ্রাপ্তবয়স্কদের ড্রাইভিং রোধ করবে এবং রাস্তার নিরাপত্তা উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন নিয়মাবলী রাস্তায় যানবাহন চলাচলের নিরাপত্তা উন্নত করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। থিওরি পরীক্ষার উপর জোর দেওয়ার মাধ্যমে, নিশ্চিত করা হবে যে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ড্রাইভাররা যানবাহন চালানোর নিয়মকানুন সম্পর্কে সচেতন। অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া সহজতর করবে এবং দুর্নীতি কমাতে সাহায্য করবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নিয়মাবলী একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।














