নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দরগামী মেট্রো রুটে আবার নতুন করে দেখা গেল জটিলতা। জানা গিয়েছে নব দিগন্ত মেট্রো স্টেশন নির্মাণ নিয়ে এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণে কার্যত কাজ থমকে যাবার যোগাড়। জানা গিয়েছে নব দিগন্ত মেট্রো স্টেশন এর জন্য সংলগ্ন একটি জায়গা থেকে জমি অধিগ্রহণ করতে চাইছে রেল কর্তৃপক্ষ। মেট্রো কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে এই জমি চাইছে। তবে এই জমিতে এই মুহূর্তে একটি টাওয়ার রয়েছে এবং এককালে এই টাওয়ারের সাহায্যে বিমান অবতরণের কাজ করা হতো। এই মুহূর্তে বিমান অবতরণের কাজের জন্য এই টাওয়ারের ব্যবহার না হলেও, এই জমি হস্তান্তর নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন জটিলতা।
জানা গিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেই জমি রেলের হাতে তুলে দিতে সম্মত। তবে রেল চাইছে স্থায়ীভাবে সেই জমির নিজেদের নামে করতে। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেই জমি ৩০ বছরের লীজে দিতে চাইছে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন জটিলতা। নব দিগন্ত মেট্রো স্টেশন নিয়ে এই জটিলতার কারণে কার্যত মেট্রো স্টেশন এর কাজ একেবারে থেমে যেতে বসেছে। ৫৩৬ স্কয়ার মিটার এলাকার জন্য ৮.৫ কোটি টাকা দিতে চাইছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে বেঁকে বসেছে বিমানবন্দর। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের তরফ থেকে এই নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ডিরেক্টরকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এদিকে জানা গিয়েছে, এই জমির ক্লাসিফিকেশন বা শ্রেণীভাগ বদলাতে হবে। বর্তমানে ৫৩৬ বর্গমিটার এলাকাটি কমার্শিয়াল জমি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার কারণে রয়েছে সমস্যা। এই এলাকাটিকে রোড অথবা রাস্তাতে পরিণত করতে হবে। তবে টেকনোপলিশের পূর্ব দিকের এই জমি নিয়ে জটের কারণে এই মেট্রোর কাজ এই মুহূর্তে থমকে রয়েছে।
ইএম বাইপাসের উপর দিয়ে বিমানবন্দরগামী মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনে সমস্যা রয়েছে ভিআইপি বাজারে। মেট্রোর সূত্রে খবর খুব শীঘ্রই এই জট খুলতে পারে। গত সপ্তাহে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের কর্তারা এই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন এবং এর আগে নবান্নে মেট্রো কর্তৃপক্ষ এবং CESC কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজের মুখ্য সচিব হরে কৃষ্ণ দ্বিবেদী। উল্লেখ্য, ভিআইপি বাজারের যেখান দিয়ে মেট্রোর ব্রিজ যাওয়ার কথা সেখানে মাটির নিচে সিইএসসির একটি বিদ্যুতের লাইন রয়েছে যা নিয়ে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। হাই ভোল্টেজ এই বিদ্যুতের তারগুলিকে সেখান থেকে সরানো হবে এবং তারপর এই এলাকায় নির্বিঘ্নে মেট্রোর কাজ করা যাবে বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেই মেট্রোর চিংড়িঘাটা এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় ভুগর্ভস্থ টানেল তৈরির কাজের জন্য রেল কর্তৃপক্ষের কাছে জমি হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।