আরোহী সহ বিশেষ করে বাইকের পিছনের সিটে বসা আরোহীর জন্য নয়া নিয়মাবলী। পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গাড়ির নকশা ও তথসংলগ্ন কিছু ফিচার। সড়ক দুর্ঘটনার হার কমাতে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নয়া গাইডলাইন গ্রহণের সিদ্ধান্তে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক।
জেনে নিন নয়া গাইডলাইনগুলি :-
মন্ত্রকের নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী বাইকের পিছনের সিটের দু’দিকের হ্যান্ড হোল্ড থাকা অত্যাবশ্যক। আসলে এটা পিছনের সিটের আরোহীর জন্য একধরণের সুরক্ষা কবজ। নিজের সেফটির জন্য এটা ধরে রাখতে হবে পিছনের সিটের আরোহীকে। অনেক সময় বাইক চালকের আকস্মিক ব্রেক দেওয়ার ফলে অসাবধানতাবশত দুর্ঘটনা ঘটে যায়, কিন্তু এই সেফটি ফিচারের ফলে তা রোধ করা সম্ভব।
পিছনের সিটের আরোহীর জন্য দু’দিকে পা রাখার জায়গাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি পিছনের চাকার বাম দিকের অংশটির কমপক্ষে অর্ধেকটি সুরক্ষিতভাবে ঢাকা থাকতে হবে যাতে পিছনের সিটের আরোহীর পোশাক পিছনের চাকায় জড়িয়ে না যায়। ফলে দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব।
মন্ত্রকের নয়া গাইডলাইনে বাইকে হালকা জিনিস বা পাত্র রাখার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যদি পিছনের সিটে কন্টেনার বা পত্র রাখা হয়, তাহলে অন্য কেউ সেখানে বসতে পারবেন না৷ কেবল বাইক চালকই একা থাকতে পারবেন।
টায়ার সম্পর্কিতও একটি নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এর আওতায় সর্বাধিক সাড়ে ৩ টন ওজনের যানবাহনের জন্য একটি টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেমের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে এই সিস্টেমে ড্রাইভার সেন্সরের মাধ্যমে তথ্য পায় যে গাড়ির টায়ারের হাওয়ার অবস্থা কীরূপ আছে। টায়ার মেরামতের কিটসও সুপারিশ করেছে মন্ত্রক। ফলে, গাড়ির অতিরিক্ত টায়ারের প্রয়োজন হবে না।