200 Rupee Note: ২০০ টাকার নোটে নতুন মাত্রা! RBI-এর বড় আপডেটে নতুন বছরে চমকপ্রদ ঘোষণা
বর্তমানে ভারতে সর্বোচ্চ মূল্যের কারেন্সি নোট হিসেবে ৫০০ টাকার নোট ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০০০ টাকার নোট বাতিলের পর থেকেই ব্যবসায়িক ও আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, যেখানে ২০০ ও ৫০০ টাকার নোট খুবই জনপ্রিয়।
সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০০ টাকার নোট নিয়েও উদ্বেগের কারণে সতর্কবার্তায় ধরা পড়েছে। দেশে জাল নোটের কেলেঙ্কারী আবারও বাড়তে দেখা যাচ্ছে। আরবিআই ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের পর, প্রতারকদের নজরে এসে ১০০, ২০০ ও ৫০০ টাকার জাল নোটের সরবরাহ পুনরায় বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রায় ৯ বছর আগে, দেশের কালো অর্থ লুটে নেওয়া ও জাল নোটের প্রবণতা কমাতে কেন্দ্রীয় সরকার হঠাৎ করে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার পুরনো নোটগুলি বাতিল করেছিল, তবে তখনও জাল নোটের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়।
জাল ২০০ টাকার নোট: দেশে ফের উত্থান ঘটছে জাল নোটের প্রবণতা
বিহারের পাশাপাশি তেলেঙ্গানার নির্মল জেলার জেলাতেও ২০০ টাকার জাল নোট নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এসব নোট ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করছেন, কারণ জাল নোট দেখতে আসল নোটের সমান হওয়ার কারণে মানুষ সহজেই প্রতারিত হতে পারে। এ প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে এবং অনেকেই সন্দেহ নিয়ে নিজেদের কাছে থাকা নোট পরীক্ষা করার চেষ্টা করছেন।
আরবিআই দিচ্ছে জাল নোট শনাক্তের নির্দেশনা
সরকারি সতর্কবাণীতে, আরবিআই ব্যাখ্যা করেছে কীভাবে আসল ২০০ টাকার নোট এবং জাল নোটের মধ্যে পার্থক্য করা যায়:
– দেবনাগরী লিপি: আসল নোটে ‘২০০’ লেখা দেবনাগরী বর্ণে মুদ্রিত থাকে।
– মহাত্মা গান্ধীর ছবি: নোটের মাঝখানে স্পষ্টভাবে মহাত্মা গান্ধীর ছবি থাকে।
– মাইক্রো লেটারিং: নোটে ‘আরবিআই’, ‘ভারত’, ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘২০০’ মাইক্রো অক্ষরে মুদ্রিত আছে।
– নিরাপত্তা থ্রেড: নোটে সুরক্ষা থ্রেডে ‘ভারত’ ও ‘আরবিআই’ লিপ্যন্তরিত রয়েছে।
– অশোক স্তম্ভ: ডানদিকে অশোক স্তম্ভের প্রতীক দেখা যায়।
জনসাধারণের জন্য আবেদন
জাল ২০০ টাকার নোটের সম্প্রসারণ দেখে আরবিআই সর্বসাধারণকে অনুরোধ করেছে, যে লেনদেনের সময় ভালোভাবে নোট যাচাই করে নেবেন ও কোনো সন্দেহজনক নোট পাওয়ার সাথে সাথেই স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।
সরকার ও আরবিআই দেশের নগদ লেনদেনে স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ক্রমাগত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।