কেরলের মালাপ্পুরমে একটি অন্তঃসত্ত্বা হস্তিনীর বাজি ভর্তি আনারস খাওয়ার ফলে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। চারিদিকে চলছে নিন্দার ঝড়। এরই মাঝে এদিন বৃহস্পতিবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন একটি টুইট করেন। আর সেই টুইট নিয়ে চলছে জোর জল্পনা কল্পনা। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, “যে অন্তঃসত্ত্বা হাতিটি মারা গিয়েছে সেই ঘটনার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্ত করছে বনদপ্তর ও পুলিশ কর্মীরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলাপুলিশ ও জেলা বনদপ্তর”।
তিনি এদিন আরও বলেন, তিনজন সন্দেহ জনক ব্যক্তিকে অনুমান করা হচ্ছে এই হাতি মৃত্যুর পিছনে। যে বা যারা এই কাজটি করেছে তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি হবে এমনও জানিয়েছেন পিনারাই বিজয়ন। কি হয়েছিল সেদিন? জানা গিয়েছে, খাবারের খোঁজে একটি হাতি জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসে। তবে হাতিটিকে দেখে স্থানীয়রা ভাবেন, হয়তো কোনো ফসলের ক্ষতি করবে হাতিটি বা কারোর বাড়িঘরের উপর আঘাত হানবে বা কারোর প্রাণহানিও হতে পারে। এরপর স্থানীয়রা ওই ক্ষুধার্ত হাতিটিকে বাজি ভর্তি আনারস খেতে দেয়। ওই আনারস খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে যায় হাতিটি। ছুটটে ছুটটে একটি নদীতে শরীরের কষ্টকে লাঘবের জন্য ডুবে বসে থাকে। এরপর ওখানেই মারা যায় সে।
In a tragic incident in Palakkad dist, a pregnant elephant has lost its life. Many of you have reached out to us. We want to assure you that your concerns will not go in vain. Justice will prevail.
— Pinarayi Vijayan (@vijayanpinarayi) June 4, 2020
এই ঘটনাটি কেরলের বনাধিকারিক মোহন কৃষ্ণণ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গে সেই ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে যায়। তবে বনদপ্তরের কয়েকজন আধিকারিকদের অনুমান, বুনো শুয়োর মারার জন্যই ওই আনারসটিতে বাজি ভরে রাখা হয়েছিল যা হাতিটি ভুল করে খেয়ে ফেলে। এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর পর অনেকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ বিজেপি এই কারসাজি করেছে যাতে তা মুসলিম বিদ্বেষ তৈরি করে।