একাউন্টে ঢুকবে মোটা টাকা! নতুন বছরে আবার কি সুখবর নিয়ে আসছে মোদি সরকার?
জানা যাচ্ছে এইবারের অর্থ বাজেটে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড একাউন্টে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি পেতে চলেছে
যারা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছেন তাদের জন্য একটা দারুন সুখবর আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। খুব শীঘ্রই পেশ হতে চলেছে রাজ্যে সাধারণ বাজেট এবং নির্বাচনী বছর হওয়ার কারণে এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট ঘোষণা করবেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। আর অর্থমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের খুশি করতে পারেন তার এই দারুন বাজেটের মাধ্যমে। আশা করা যাচ্ছে করের বোঝা কমানোর জন্য বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়া বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভালো সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে বিনিয়োগকারীরা ২০২৪ সালের বাজেট থেকে একটা দারুন বেনিফিট তুলতে পারবেন।
ইতিমধ্যেই ২০২৪ সালের বাজেটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে অনেকের মধ্যে। যেহেতু এটি একটি নির্বাচনী বছর এবং এই বছরই দেশের লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা, সেই কারণে এবারে করদাতাদের খুশি করার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট ঘোষণা করতে পারেন নির্মলা সীতারামন। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। নির্মলা সীতারমন পিপিএফ-এ বিনিয়োগকারীদের জন্য একটা বড় উপহার দিতে চলেছেন। এতে শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীদেরই সুবিধা হবে না বরং করদাতাদের উপর থেকে অনেকটা বোঝা কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও বিনিয়োগ সার্কেলে একটা দারুন বেনিফিট দেখতে পারেন অনেকে।
আপনার অনেকেই জানেন একটি আর্থিক বছরে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। এর উপরেও আপনি কিন্তু কর ছাড় পেয়ে যাবেন। তার পাশাপাশি সরকার ৭.১ শতাংশ হাড়ে রিটার্ন দিয়ে থাকে এই পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট এর ক্ষেত্রে। এই মুহূর্তে নতুন সিস্টেম অনুযায়ী ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ আপনি করতে পারেন। তবে মনে করা হচ্ছে এইবারের বাজেট ঘোষণার পরে এই উর্ধ্বসীমা তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে যেতে চলেছে। অর্থাৎ একটা দারুণ বেনিফিট আসতে চলেছে সরকারি কর্মীদের একাউন্টে। এতদিন পর্যন্ত পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড একাউন্ট এর সুদের হার পরিবর্তন করা হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। এবার থেকে কিন্তু আপনারা পিপিএফ একাউন্টে আরো বেশি বেনিফিট পাবেন কারণ সুদের হার হয়তো বৃদ্ধি পেতে পারে।
এবার বিষয়টা হলো পিপিএফ এ বিনিয়োগের সীমা বৃদ্ধি করার জন্য আদতে কিন্তু দুটি সুবিধা হবে। প্রথমত এই স্কিমের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে। এখনো পর্যন্ত ভারতের সবথেকে জনপ্রিয় কয়েকটি প্রকল্পের মধ্যে এটি অন্যতম। তবে যদি বিনিয়োগের সীমা আরো বৃদ্ধি পায় তাহলে আরো বেশি মানুষ এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করবেন। দ্বিতীয়ত, বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে গেলে ব্যাংক এবং সরকারের আমানত বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে অন্যান্য খাতে দারুণ সুফল পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া বিনিয়োগের সীমা দ্বিগুণ করে বিনিয়োগকারী দ্বিগুণ সুবিধা পেতে পারেন। আর এতে সঞ্চয় যেমন বেশি হবে তার পাশাপাশি অর্জিত সুদের পরিমাণ আরো বাড়বে।