বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনার প্রতিষেধক রেজিস্ট্রার করে রাশিয়া। গত ১১ই আগস্ট এই প্রতিষেধকের উপর সিলমোহর পড়ে। আর এই কথা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নিজেই শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই রুশ কন্যার দেহে করোনার ওই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়। প্রয়োগের পর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আর এরপরই রাশিয়া জানিয়ে দেয় আগস্ট মাসের শেষের দিকেই তাঁদের তৈরি প্রতিষেধকের কয়েক হাজার ডোজ বাজারে চলে আসবে, এমনটাই জানিয়েছে রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
করোনার প্রতিষেধক পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে অনেক দেশ নাম লিখিয়ে ফেলেছে তালিকায়। ২০ টি দেশ করোনার প্রতিষেধক পাওয়ার জন্য রাশিয়ার কাছে আবেদন করেছে যার মধ্যে ভারত অন্যতম। রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, আগস্টের শেষের দিকেই বাজারে আসতে চলেছে করোনার প্রতিষেধকের ডোজ। যদিও রাশিয়ার তৈরি করোনার প্রতিষেধক নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে এই প্রতিষেধকের কার্যকারিতা সম্পর্কে চলছে বিতর্ক।
নানান মহলের প্রশ্ন, মাত্র ৭৬ জনের শুরু শরীরে করোনার প্রতিষেধকের প্রয়োগ করে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব কীভাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রাশিয়ার দাবিকে বরাবর আপত্তি জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, করোনার টিকাটি পরীক্ষা করতে রাশিয়া প্রথমে ৩৮ জনের শরীরে লিকুইড ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে। এরপর আরও ৩৮ জনকে পাওডার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। আর এরপর জানা গিয়েছে, ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, ১০০ জনেরও কম মানুষের শরীরে প্রতিষেধকটি প্রয়োগ করে তার কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়না। রাশিয়া শুধুমাত্র একটি পর্যায়ে পরীক্ষা করেছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে অনেকজনের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ না করে তা সিদ্ধান্তে আসা যায় না। এছাড়া টিকা তৈরির পদ্ধতিও সবিস্তারে জানায়নি রাশিয়া।