করোনা ভাইরাস রুখতে আগামী চার সপ্তাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভারতের জন্য

করোনা আক্রান্তের পাশাপাশি করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। ভারতে বর্তমানে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ১২৫। করোনাভাইরাসকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহামারি রোগ আইন প্রয়োগ করার।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিভিন্ন ধাপের মধ্যে ভারত বর্তমানে দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। ভারতে এখনো পর্যন্ত যাদের করোনা ভাইরাস হয়েছে তারা আক্রান্ত দেশগুলিতে গিয়েছিলেন বা যারা আক্রান্ত তাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন। কিন্তু পরবর্তী ধাপটি সবচেয়ে গুরুতর। আগামী দুই বা চার সপ্তাহের মধ্যে যদি আক্রান্ত হওয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ আনা না যায় তাহলে করোনাভাইরাসের দাপট ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে এমন অনেক মানুষ এড়িয়ে যাচ্ছে স্ক্রিনিং, পালিয়ে যাচ্ছে কোয়ারিন্টাইন থেকে।

তৃতীয় ধাপে কোনো বৃহৎ গোষ্ঠী বা কোনও বড় এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে আক্রান্তদের সংস্পর্শে না এসে এবং আক্রান্ত দেশগুলিতে না গিয়েও। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন আগামী দুই সপ্তাহ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, তৃতীয় ধাপে সংক্রমণ ছড়ানোর হাত থেকে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ভারতের হাতে সময় রয়েছে চার সপ্তাহ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো পদক্ষেপ অবলম্বনের মাধ্যমে তৃতীয় ধাপে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে।

আরও পড়ুন : HIV-র ওষুধ ব্যবহার করে সেরে উঠেছেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে চারটি ধাপে। প্রথম পর্যায়ে, আক্রান্ত দেশগুলি থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে সংক্রমন দেখা দেয়, দ্বিতীয় পর্যায়ে স্থানীয় সংক্রমণ, এরপরে তৃতীয় পর্যায় কোনও বড় গোষ্ঠী বা বড় এলাকাজুড়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। চতুর্থ পর্যায়, এই রোগ মহামারির আকার ধারণ করে।
ইতালি, চিন ও আমেরিকার তৃতীয় পর্যায় দেখা যায়। ইতালিতে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০০ যা মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে হু হু করে বেড়ে দাড়ায় ১০ হাজার।

ভারতে সংক্রমণ প্রতিরোধে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একাধিক সতর্কতা অবলম্বন করেছে, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি, ভিড় স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে,বন্ধ রাখা হয়েছে পর্যটন স্থান। বাতিল হয়েছে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।