পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি রীতিমত নাস্তানাবুদ করে তুলেছে মধ্যবিত্তদের। অন্যদিকে পরিবেশ দূষণের ভবিষ্যৎ ফলাফলের ভয়াবহতা দেখে অনেকেই আজকাল সচেতন হচ্ছেন। বিশেষ করে বর্তমানে ইলেকট্রিক বাইক বা গাড়ি কেনার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতীয়দের মধ্যে। একদিকে জীবাশ্ম জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কোপ থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে এবং অন্যদিকে পরিবেশকেও কিছুটা হলেও রক্ষা করা যাবে এই বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহার করে। তাইতো আজকাল সরকারও দেশবাসীকে ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত করছে। এবার সেই ধারা বজায় রেখেই কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গডকরি জানিয়েছেন যে আগামী এক বছরের মধ্যে ইলেকট্রিক গাড়ির দাম পেট্রোল গাড়ির দামের সমান হয়ে যাবে।
আসলে দেশবাসীর মধ্যে ইলেকট্রিক যানবাহন কেনার উৎসাহ দেখা গেলেও অনেকেই দামের জন্য পিছ পা হতে বাধ্য হন। আসলে ইলেকট্রিক যানবাহন কেনার পর খরচ অনেক কম হলেও প্রাথমিকভাবে কিনতে পেট্রোল বা ডিজেলের গাড়ির থেকে সামান্য বেশি খরচ করতে হয়। এই সমস্যার সমাধানে এবার অগ্রগণ্য ভূমিকা নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গডকরি জানিয়েছেন, “প্রযুক্তি এবং সবুজ জ্বালানিতে দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। আর এরফলে আগামী এক বছরের মধ্যেই বৈদ্যুতিক অটোমোবাইলের দাম অনেকটাই কমে যাবে। এমনকি আগামী দুই বছরের মধ্যে ইলেকট্রিক গাড়ির দাম পেট্রোলচালিত গাড়ির সমান হয়ে যাবে এবং আগামী দিনে তা অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে সবুজ বিপ্লব আনবে।”
এছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন যে এবার দেশবাসীকে হাইড্রোজেন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে শুরু করতে হবে। তিনি উপস্থিত সংসদ সদস্যদের নিজে নিজে এলাকায় স্বয়ং নিষ্কাশন জলকে সবুজ হাইড্রোজেন রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জোড় গলায় বলেছেন যে আগামী দিনে ভারতে সবচেয়ে সস্তা জ্বালানির বিকল্প এই হাইড্রোজেন হবে। তিনি দামের তফাৎ এর পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছেন যে পেট্রোল চালিত গাড়ির প্রতি কিলোমিটারে খরচ হয় ৫-৭ টাকা। তবে সবুজ হাইড্রোজেন চালিত গাড়ির প্রতি কিলোমিটারে খরচ ১ টাকারও কম হবে।