এবছর আলোর উৎসবে কোনো রকম আতসবাজি বাজবেনা এরকম সিদ্ধান্ত নিল হাইকোর্ট। আগের বছরের মতই এবছরও সব ধরনের বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। শুধু দীপাবলী আর কালীপুজো নয়। ছটপুজো, জগদ্বাত্রী পুজো আর ক্রিস্টমাসেও কোনোরকম বাজি ব্যবহার করা যাবে না। আগে পরিবেশ বান্ধব বাজীর কথা বলা হলেও শুক্রবার এই পরিবেশ বান্ধব বাজিও নিষিদ্ধ করল হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এ স্পষ্ট জানিয়েছেন, জীবনের থেকেও ব্যবসা বড় হতে পারে না। এমনটাই জানিয়ে সব ধরনের বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুজোর পর করোনা সংক্রমণ ফের বেড়ে গিয়েছে, এখনও কমেনি। এরমধ্যেই স্বাস্থ্যবিধিকে উপেক্ষা করে দুর্গোৎসবে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাই কালীপুজোয় বাজি ফাটানোয় গতবারের নিষেধাজ্ঞা বহালের আবেদন করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আর সেই মামলাতেই শুক্রবার বাংলায় দীপাবলিতে বাজি ফাটানো হবে কিনা তারই রায় দিল সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রথমে পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোতে অনুমতি দেওয়া হলেও এখন নিষেধাজ্ঞা করার কারণ হিসেবে আদালত নিজের বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, পরিবেশবান্ধব বাজি চিহ্নিত করার উপায় পুলিশের নেই। পুলিশের পক্ষে এই ধরণের বাজি চিহ্নিত করা অসম্ভব। আর করোনার কথা মাথায় রেখে রোগীদের শ্বাসকষ্টের কোনো অসুবিধা না হয় তাই এই সিদ্ধান্ত। আর কিছুদিনের মধ্যে করোনার তৃতীয় ওয়েভ শুরু হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই সব কথা ভেবে এই বছর আলোর উৎসব প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বেলেই উদযাপন করতে হবে।
এদিন আদালতের এই নির্দেশিকাতে আরো বলা হয়,
এরাজ্যে বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ এটা যেমন ঠিক তেমনভাবেই এরাজ্যে ১১ কোটি মানুষ বাস করছেন। রাজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতর স্বার্থকে ত্যাগ করতে হয়।