দিলীপের অনুমতি ছাড়া করা যাবে না দলে রদবদল, ফের আদি নব্য দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির তাদের আদি নব্য দ্বন্দ্ব কোন ভাবে প্রকাশ করতে দিতে চায় না
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলবদল ইস্যু। একের পর এক ঘাসফুল শিবিরের নেতারা বিজেপিতে যোগদান করায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে শাসকদলকে। কিন্তু অন্যদিকে তৃণমূল নেতারা বিজেপিতে গিয়ে যোগ দেওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে দলের মধ্যে অন্তর্কলহ। গেরুয়া শিবিরে এখন অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আদি নব্য দ্বন্দ্ব। কারন অনেকেই তৃণমূল থেকে গিয়ে হঠাৎ করে বিজেপিতে ভালো পদ পেয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে গেরুয়া শিবিরের সৈনিক হয়েও অনেকের ভাগ্যে জোটেনি কিছু। তাই এবার নির্বাচনের আগে ক্ষোভের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবস্থা নিল গেরুয়া শিবির।
আসলে আদি নব্য দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে কিছুদিন আগে শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদন ছাড়া সাংগঠনিক স্যারের নাম ঘোষণা করে দেওয়ার জন্য। তাই এবার সেই সমস্যা সমাধান করতে বিজেপি সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা সভাপতি কে। সেখানে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী অনুমোদন ছাড়া জেলা কমিটি, মন্ডল সভাপতি, মন্ডল কমিটি, বিধানসভার নেতা স্তরে কোন সাংগঠনিক রদবদল করা যাবে না। একথা স্পষ্টভাবে বলতে গেলে এর অর্থ যে এবার থেকে দলের একেবারে শীর্ষস্তরের অনুমোদন ছাড়া কোনো রকম পদক্ষেপ নিতে পারবেন না জেলা সভাপতিরা।
কিন্তু কেন এমন নিয়ম আনতে চলেছে গেরুয়া শিবির তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বঙ্গ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে ভোটের আগে বিজেপিতে সদস্য সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেই সংখ্যা বাড়ছে তৃণমূল, কংগ্রেস বা বাম থেকে পদত্যাগীদের নিয়ে। এমনকি কিছু কিছু জায়গায় পদত্যাগী নেতারা এসে পুরনো নেতাদের নিজে নিজে কাজ করাচ্ছে। এর ফলে ভিতরে ভিতরে আদি নব্য বিজেপি দ্বন্দ্ব ক্রমশ জমে উঠছে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ক্ষোভ প্রকাশ হলে তা তাদের জন্য একদমই ঠিক হবে না সেটা ভালোভাবেই জানে শীর্ষ নেতারা। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দলের রাশ যাতে শীর্ষ নেতা যেমন দিলীপ ঘোষের হাতে থাকে তা চেষ্টা করছে গোটা দল।