১২ লক্ষ টাকা আয় করেও দিতে হবে না ট্যাক্স, জানুন কিভাবে করা যাবে এই কাজ
আপনাকে যদি ট্যাক্স ছাড় পেতে হয় তাহলে কিছু উপায় আপনাকে অবলম্বন করতেই হবে।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে ভারতের নতুন আর্থিক বছর এবং এর আগেই ১ ফেব্রুয়ারি দেশের বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এইসবের মধ্যে যে জিনিসটি আপনার জন্য সবথেকে দরকারি সেটা হল ট্যাক্স সংরক্ষণের বিষয়টা। আপনি যদি একজন বেতনভোগী শ্রেণীর ব্যক্তি হন তাহলে আপনি অবশ্যই কোম্পানির হেড রিক্রুটার বিভাগ থেকে একটি ইমেইল পেয়েছেন যেখানে আয়কর সম্পর্কিত বিনিয়োগের প্রমাণ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এখন সবাই নিজেদের ভাড়ার রশিদ থেকে শুরু করে জাতীয় পেনশন প্রকল্পের বিনিয়োগ কত রয়েছে সেটা জানাতে ব্যস্ত। কিন্তু, আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যদি আপনি ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন, তাহলেও কিন্তু আপনাকে কর ছাড় দেবে সরকার। কিন্তু সেটা একটা ভিন্ন উপায়ে। কি উপায় আপনি পাবেন এই বেতনে ট্যাক্স ছাড়? চলুন আজকে তাহলে সেটাই দেখে নেওয়া যাক।
যদি আপনার বেতন প্রতি বছরে ১২ লক্ষ টাকা হয় তাহলে আপনি এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আয়কর প্রদান থেকে মুক্ত হতে পারেন। অর্থাৎ দেখতে গেলে আপনার আয়কর একেবারে শূন্য হতে পারে। প্রথমত যদি আপনার এইচআর বিভাগে ট্যাক্সবান্ধব পদ্ধতিতে বেতনের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে আপনি বেতনে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করতেই পারেন।এছাড়াও বিনিয়োগ করতে হবে আপনাকে এমন কিছু জায়গাতে যেখানে আপনি পেয়ে যাবেন কর ছাড়ের সুবিধা। এর মধ্যে অন্যতম হলো হাউসিং রেন্ট অ্যালাউয়েন্স, ছুটির ভ্রমণ ভাতা, স্বাস্থ্য বীমা জীবন বীমা। কিন্তু সব জায়গাতে বিনিয়োগ করলেই কিন্তু আপনি কর ছাড় পাবেন না। এর একটা নির্দিষ্ট কাঠামো থাকতে হবে।
ধরে নেওয়া যাক আপনার বেতন ১২ লক্ষ টাকা। তাহলে আপনার বেতন এমনভাবে গঠন করতে হবে যাতে HRA হয় ৩.৬ লক্ষ টাকা, LTA হয় ১০ হাজার টাকা এবং টেলিফোন বিল হয় ৬০০০ টাকা। তাহলে আপনি মোট বেতনের উপরে ছাড় পেতে পারেন। এমনিতেই ভারত সরকারের কর ছাড়ের নিয়মাবলী অনুযায়ী ধারা ১৬ এর অধীনে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। এছাড়াও পেশাদার কর থেকে ছাড় ২৫০০ টাকা মতো। এছাড়াও ১০ নম্বর ধারার অধীনে ৩.৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যেতে পারে। ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত LTA রয়েছে। সবমিলিয়ে যদি আপনি হিসাব করেন তাহলে কর যোগ্য বেতন হবে ৭ লক্ষ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা। এবার ধারা ৮০সি এর অধীনে আপনি ১.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাবেন। ৮০সিসিডি এর অধীনে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পাবেন শুধুমাত্র ন্যাশনাল পেনশন স্কিমের অধীনে। এছাড়াও নিজের স্ত্রী এবং কম বয়সী শিশুদের জন্য ২৫ হাজার টাকা স্বাস্থ্য বীমা পাওয়া যাবে ৮০ডি এর অধীনে। জ্যেষ্ঠ নাগরিক অর্থাৎ পিতা মাতার জন্য স্বাস্থ্য নীতিতে ৫০০০০ টাকা ছাড় পাওয়া যাবে। এই সবকিছু যোগ করলে আপনার কর যোগ্য আয় হবে ৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা। ৫ লাখ টাকার কম হচ্ছে আয়। অর্থাৎ আপনাকে কোনরকম ট্যাক্স দিতে হবে না। এই সূত্র অনুসরণ করেই আপনি কিন্তু এই কর ছাড়ের সুবিধা পেতে পারেন। তবে এই সমস্ত কিছু নির্ভর করছে কিন্তু আপনার কোম্পানির হেড রিক্রুটারের সিদ্ধান্তের উপরে।