এখনকার দিনে প্রতিটি পরিবারের প্রধান একটি উপকরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার। প্রতিদিনকার জীবনে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে উঠেছে। চা তৈরি করা থেকে শুরু করে রান্না করা সব ক্ষেত্রেই গ্যাস সিলিন্ডার গুরুত্বপূর্ণ। এখনকার দিনে ভারতে আর উনুনের ব্যবহার হয় না। সেই কারণে গৃহস্থালির প্রতিটি কাজে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করেন সবাই। এই গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে একদিকে যেমন খরচ কমেছে, তেমনই সময় সাশ্রয় হচ্ছে। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার গুলি এই বিষয়ে জনগণের সুবিধার জন্য নানারকমের প্রকল্প চালু করে দিয়েছে। এর একটি প্রধান উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হল গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তুকি প্রকল্প। বিশেষ করে ভিলোয়ারা জেলার সমস্ত পরিবার যারা জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের অধীনে আসেন, তারা এই ভর্তুকি পেতে পারবেন। চলুন তাহলে এই প্রকল্পের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভিলোয়ারা লজিস্টিক ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা প্রতিটি পরিবার ভর্তুকি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন সরকারের থেকে। এই পরিবারগুলোকে প্রথমে সিলিন্ডারের জন্য ৪৫০ টাকা দিতে হবে। অন্যদিকে এরপর যদি বেশি টাকা খরচ হয় তাহলে অতিরিক্ত অর্থ ব্যাংক একাউন্টে ভর্তুকি হিসেবে দেওয়া হবে। এই ভর্তুকি সুবিধা পেতে হলে গ্রাহকদের অবশ্যই E-KYC করতে হবে, যা কিনা খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে, গ্রাহকদের প্রথমেই তাদের রেশন কার্ডের সাথে এলপিজি আইডি এবং জন আধার সিড করতে হবে। এই কাজ নিকটবর্তী ই-মিত্র বা রেশন ডিলারের মাধ্যমে করা যাবে। এতে পুরো প্রক্রিয়া সহজে সম্পন্ন হবে এবং সুবিধাভোগীরা গ্যাস ভর্তুকির সুবিধা লাভ করতে পারবেন।
এই প্রকল্পের মূল বৈশিষ্ট্য হলো, একেবারে সস্তায় গ্রাহকরা এক মাসে একটি সিলিন্ডার পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ পরিবারপিছু একটি মাত্র গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হবে প্রতিমাসে। তবে যদি কোন পরিবার বাড়তি সিলিন্ডার কিনতে চান তাহলে তাকে কিন্তু স্বাভাবিক দাম দিয়ে সিলিন্ডার কিনতে হবে। ভর্তুকি শুধুমাত্র প্রতি পরিবার পিছু একটিমাত্র সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এই সিলিন্ডার শুধুমাত্র ঘরোয়া কাজকর্মের জন্যই ব্যবহার করা যাবে। যদি অন্য কোন কাজে এই সিলিন্ডার অপব্যবহার করা হয় তবে আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই ভর্তুকি তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
গ্যাস সিলিন্ডারের ভর্তুকি প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর থেকে পরিবারগুলোর মধ্যে বেশ ইতিবাচক সাড়া পড়েছে। সাধারণ পরিবারের কাছে গ্যাস সিলিন্ডার কেনা সহজ হয়ে উঠেছে এবং ঘরে রান্নার কাজ আর্থিকভাবে অনেকটাই সাশ্রয়ী হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একটি বড় অংশের মানুষের জীবনযাত্রায় উন্নতি ঘটেছে।