এবার কেরলের দেখানো পথেই হাঁটল ওড়িশার সরকার। কয়েকদিন আগে কেরলের আলপ্পুঝার তনীরমুক্কম গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে জনগণকে অবগত করা হয়েছে, এবার থেকে বাড়ির বাইরে বেরোলে ছাতা সঙ্গে থাকা আবশ্যক। ছাতার যা ব্যাস তাতে একজন মানুষের থেকে অপরজনের মোটামুটি ১.৫ মিটার দূরত্বে অবস্থান করবে। তাই ছাতা খুলে রাখলে একে অপরের থেকে সামাজিক দূরত্বও তৈরি হবে।
বর্তমানে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। আর সামাজিক দূরত্বকে প্রাধান্য দিয়ে একে অপরের থেকে দূরত্ব তৈরির নয়া নিদান দিল ওড়িশাও। ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় জনগণকে ছাতা ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ছাতা খুলে হাঁটলে যে দূরত্বটি তৈরি হয় তাতে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই ঠেকানো সম্ভব বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
ওড়িশার গঞ্জামের জেলাশাসক বিজয় অমৃত কুলাঙ্গি টুইটারে ছাতা ব্যবহারের কথা লিখে একটি মজার ছবি শেয়ার করেছেন। তাতে দেখানো হয়েছে ছাতার মাধ্যমে কীভাবে একে অপরের থেকে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাস্তাঘাটে ছাতা নিয়ে বেরোলে পরস্পরের থেকে যে দূরত্বের সৃষ্টি হবে তাতে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেইনটেইন হবে। তার ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ তুলনামূলক ভাবে কমতে পারে।
গত কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের দিন প্রধানমন্ত্রী ‘দো গজকি দূরি’ বজায় রাখতে অনুরোধ করেন। আর সেদিন কেরালার আলপ্পুঝার তনীরমুক্কম গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে জনগণকে ছাতা ব্যবহারের নিদান দেওয়া হয়। এবার এই পথেই হাঁটল ওড়িশা।