গত কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে ভোজ্য তেলের মূল্য অনেকটা বৃদ্ধি হয়েছে। এদিকে পাল্লা দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে তেলের চাহিদাও অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণেই এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে তেলের দাম। এমতাবস্থায়, সরকারের উপরে চাপ আসতে শুরু করেছে তেলের দাম কমানো নিয়ে। তাই এবার আমদানি করে ছাড় দেওয়ার মাধ্যমে সরকার তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করছে বলে খবর। ট্যারিফ রেট কোটা পদ্ধতির অধীনে সয়াবিন তেল এবং সূর্যমুখী তেল আমদানি উপরে আমদানি শুল্ক বন্ধ করেছে ভারত সরকার। এর পাশাপাশি এই দুটি তেলের আমদানিতে কৃষি পরিকাঠামো এবং উন্নয়ন সেস তুলে দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে তেলের দাম নিয়ে ভারত সরকার যে চিন্তিত সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
TRQ এর মাধ্যমে ভারতে কোন নির্দিষ্ট দ্রব্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ আমদানির ক্ষেত্রে কম বা শূন্য শুল্ক হারের অনুমতি দেওয়া হয়। একবার কোটা পূর্ণ হয়ে গেলে তারপর অতিরিক্ত আমদানির ক্ষেত্রে সাধারণ হারে শুল্ক প্রয়োগ করা হয়। ২০২২ সালের মে মাসে সরকার ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ উভয় অর্থ বর্ষের জন্য ২০ লক্ষ টন TRQ ছাড়ের জন্য আবেদন জমা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। তবে সূর্যমুখী তেল এবং সোয়াবিন তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠকের পরে একটি নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির বর্তমান পরিস্থিতি এবং ক্রেতাদের উপরে এর প্রভাব নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এবং সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে জিনিসপত্রের দাম রাখতে সরকার আরো পদক্ষেপ নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। সুতরাং মনে করা হচ্ছে আগামী ভবিষ্যতে তেলের দাম আরো কিছুটা কমবে।