অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে বিভক্ত জাপানের জনগণ। সদ্য এক সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, টোকিওর অধিকাংশ মানুষ চান না আগামী বছরের অলিম্পিক হোক। করোনার প্রভাব জাপানে আবার বাড়তে শুরু করেছে। যে কারণে অনেকেই আশঙ্কিত। তাই তাঁদের অনেকেই চান বাতিলর করা হোক অলিম্পিক। না হলে আবার পিছিয়ে দেওয়া হোক গেমস। যদিও আমজনতার এই ভোটকে মোটেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না টোকিও গভর্নর। ইউরিকো কোইকো সাফ জানিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতেই ২০২১ অলিম্পিক হবেই টোকিওতে।
সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, মাত্র ২৭ শতাংশ জাপানি চান আগামী বছর টোকিওতে অলিম্পিক আয়োজন করা হোক। কিন্তু ৩২ শতাংশ সরাসরি বাতিলের দাবি তুলেছেন। আর ৩১ শতাংশ চান, আরও পিছিয়ে দেওয়া হোক অলিম্পিক। ঘটনা হল, কয়েক মাসে জাপানে করোনার প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। কোভিডের প্রতিষেধক খুব তাড়াতাড়ি বাজারে আসতে চলেছে, এমন খবর থাকা সত্ত্বেও জাপানের মানুষ নিজের সিদ্ধান্ত অনড়।
এই পরিস্থিতির মধ্যে গভর্নর ইউরিকো বলেছেন, ‘জাপান সরকার ও টোকিওবাসীরা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন। আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকাচ্ছি। বিশ্ববাসী টোকিও গেমসে মানবতার প্রতীক হিসেবে দেখছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের পর আবার মূলস্রোতে ফিরতে চলেছে মানবতা। যেটার উপর ভিত্তি করে বেজিং উইনার অলিম্পিক হবে, প্যারিস অলিম্পিক হবে। টোকিও যদি করোনার বিরুদ্ধে লড়াই না করে, তা হলে প্যারিস অলিম্পিকের সময় কী হবে?’
করোনাভাইরাসের জন্য অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে। বাজেট আরও বাড়াতে হয়েছে আয়োজক দেশ জাপানকে। এই আর্থিক চাপ কেন তাদের সরকার নিচ্ছে এই অতিমারী পরিস্থিতিতে, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ইউরিকো অবশ্য বলছেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস মানুষ আবার নিজের আশাবাদ ফিরে পাবে।’