আধুনিক অলিম্পিকের ১২৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার এক বছর পিছিয়ে গেল অলিম্পিক। গত ৩০ মার্চ জল্পনার অবসান ঘটে। টোকিও অলিম্পিকের নয়া দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। জানানো হয়েছিল, ২০২১ সালের ২৩ জুলাই শুরু হবে অলিম্পিক। চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। অলিম্পিকের ক্রীড়াসূচিতে কোনও কাটছাঁট করা হবে না, সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরেও নতুন করে তৈরি হল জটিলতা। ফলে আগামী বছরও অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিল।
টোকিও অলিম্পিক গেমসের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জানিয়েছেন, ১৬ মাস পিছনোর পরও আগামী বছর অলিম্পিক আয়োজিত হবে কিনা সেই বিষয়ে এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। আয়োজক কমিটির সিইও টি মুটো বলেন, “পরের বছর জুলাইতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কি না, এখনই কারও পক্ষে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তাই অলিম্পিকের আয়োজন নিয়ে এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলা খুব কঠিন।” তাহলে বিকল্প কোনও দিনক্ষণের চিন্তাভাবনা করছে কমিটি? এই প্রশ্নে উত্তরে মুটো বলেন, “আমাদের আশা, আগামী বছরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। গোটা দুনিয়া করোনা মুক্ত হবে। তবে আমরা কিন্তু চুপ করে বসে নেই। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে গেমসের জন্য সবরকম প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে বিকল্প দিনক্ষণ এখনই কিছু ভাবা হয়নি।”
এবছরের অলিম্পিক শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৪ জুলাই। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জাপানবাসীর দাবি ছিল, অলিম্পিকের জন্য হাজার হাজার মানুষ সে দেশে গেলে তাঁদের সঙ্গে করোনাও ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ, প্রশাসনের পক্ষে এত মানুষের দিকে নজর রাখা সম্ভব নয়। করোনার জেরে বিশ্বের বৃহত্তম স্পোর্টিং ইভেন্ট বাতিল করার দাবি জানাচ্ছিল অংশগ্রহণকারী দেশগুলিও। সেই সব দাবি মেনেই অলিম্পিক স্থগিতের কথা ঘোষণা করা হয়। সপ্তাহখানেক পর নতুন দিনক্ষণ জানানো হয়। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগামী বছরও অলিম্পিক আয়োজনে প্রশ্ন উঠে গেল।