শ্রেয়া চ্যাটার্জি : ২০০৮ এ শুরু হয়েছিল মুম্বাইয়ের হামলা আজকের দিনে, ১১ বছর পরেও মুম্বাই হামলা সেই রক্তাক্ত দিন আজ প্রত্যেকের স্মৃতিতে রয়ে গেছে। আরব সাগর পেরিয়ে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছিল ভারতে। তারা সেদিন রক্তাক্ত খেলায় মেতেছিল। একটার পর একটা প্রাণ নিয়ে রক্তের বন্যা ছুটিয়ে ছিল। প্রাণ হারিয়েছিল শত শত মানুষ সেখানে ছিল কারোর সন্তান, কারোর স্বামী, কারোর পুত্র, কারোর স্ত্রী।
সেদিনটা মনে পড়লে আজও বুকের ভেতর কেপে ওঠে। ১০ জন করাচি থেকে আরব সাগর পেরিয়ে এসেছিল ভারতে। লিওপোল্ড ক্যাফে, ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস, ওবেরয় হোটেল, কামা হাসপাতাল,সর্বত্র তারা ছেয়ে গেছিল। বিদেশি পর্যটকসহ প্রাণ হারান ১৬৬ জন। পরস্পর গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান ৯ জন জঙ্গি এবং বেশ কয়েকজন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা।
১০ জন জঙ্গির মধ্যে একজন জঙ্গি জীবিত থাকেন,তার নাম আজমল কাশ্যপ। পরে অবশ্য তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। জঙ্গি বাহিনী কেতু সমূলে বিনাশ করা গেল। কিন্তু জঙ্গি বাহিনী লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠন, তারা কি আবারও জঙ্গি আক্রমণ করতে পারে না? কারণ তাদেরকে তো সমূলে বিনাশ করা সম্ভব হয়নি, তারা আবারও আক্রমণ করতে পারে, এই আশঙ্কা নিয়ে ভারতবাসীকে থাকতেই হবে।