১২ টি রাজ্যে পয়লা জানুয়ারি থেকে শুরু হল এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থা। যেসব রাজ্যে এই ব্যবস্থাটি শুরু হয়েছে সেগুলি হল অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, রাজস্থান, কর্ণাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, ঝাড়খন্ড, ত্রিপুরা। অভিন্ন রেশন ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে যেকোনো রেশন দোকান থেকে জিনিস নিতে পারবেন গ্রাহকরা, এমনটা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক।
তাদের দাবি সাড়ে তিন কোটি মানুষ উপকৃত হবে এই ব্যবস্থায়। মোদি সরকার বলেছেন যে সমস্ত দিনমজুর ভিন্ন রাজ্যে কাজের সন্ধানে যান তারা নতুন ব্যবস্থার ফলে সরকারি ভর্তুকির খাদ্য দ্রব্য কিনতে পারবেন রেশন থেকে, এর ফলে তারা ভীষণভাবেই উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন : ‘সাধারণ মানুষের জন্য নববর্ষের উপহার রেল ভাড়া ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি’, কেন্দ্রকে আক্রমণ কংগ্রেসের
তবে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে ২০২০ পয়লা জুন থেকে অভিন্ন রেশন কার্ড সব রাজ্যে চালু করার কথা কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে জানালেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরোধিতা করেছেন। সিএএ এনআরসির মতই অভিন্ন রেশন ব্যবস্থার ওপর আস্থা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
অপরদিকে তৃণমূল সাংসদ, রেশন ডিলাররাও এর প্রতিবাদ করে বলেছেন বাংলার মানুষ এতে উপকৃত হবেন না বরং এর ফলে তারা আরও সমস্যায় পড়বেন।রেশন ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। রাজ্যে বর্তমানে পাঁচ ধরনের রেশন কার্ড রয়েছে। অভিন্ন রেশন কার্ড চালু হলে গ্রাহকরা সমস্যায় পড়বে। আবার ভিন্ন রাজ্যের নাগরিক যারা বাংলায় বসবাস করছে তারা অভিন্ন রেশন কার্ডে খাদ্যদ্রব্য নিলে রাজ্যের আর্থিক চাপ বৃদ্ধি পাবে।