নিউজরাজ্য

Black Fungus: বাংলাতে থাবা চওড়া ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের, উত্তরবঙ্গে রোগের শিকার আরও ১

দেশজুড়ে মোট ১২ হাজারের কাছাকাছি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন

Advertisement

করোনা সংক্রমনের পাশাপাশি দেশজুড়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস রোগ। একদিকে করোনা সংক্রমনের গ্রাফ ক্রমশ গগনচুম্বী রূপ নিচ্ছে। পাশাপাশি তার দোসর হিসেবে আস্ফালন বাড়াচ্ছে কৃষ্ণ ছত্রাকের থাবা। কিছুদিন আগেই কেন্দ্র সরকার এই রোগকে মহামারীর নাম দিয়েছে। এই রোগের প্রভাব দেখা যাচ্ছে বাংলাতেও। এবার ফের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত হলেন শিলিগুড়ির এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির বয়স প্রায় ৪৫ বছর এবং তিনি শিলিগুড়ির প্রধান নগরের বাসিন্দা।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ধরা পড়ছে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার উত্তরবঙ্গে একজন আক্রান্ত হওয়ার পর রাজ্যে মোট ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ জন। এমনকি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে ৩ জনের। গোটা দেশজুড়ে এই রোগের সংক্রমণ আরো ভয়াবহ হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন অব্দি গোটা দেশজুড়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজারের কাছাকাছি মানুষ।

গতকাল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে উত্তরবঙ্গ শিলিগুড়ির এক ব্যক্তি এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার সাথে তার ছিল হাই সুগার। তার করোনা ঠিক হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই নাকে, মুখে ও চোখে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। তারপর তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। নমুনা পরীক্ষার পর বুধবার সকালে রিপোর্ট আছে যে তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত। বর্তমানে তাকে পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অন্যদিকে আরেক মহিলার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগ হলে তার অস্ত্রোপচার হয়। স্থিতিশীল রয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সূত্রে জানা গিয়েছে যে যে সমস্ত ব্যক্তির শরীরে অনাক্রমতা ক্ষমতা খুবই কম তাদের শরীরেই এই বিশেষ ধরনের প্রজাতির ছত্রাক সংক্রমণ হচ্ছে। মূলত করোনাজয়ী ব্যক্তিরা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে খুশির খবর এটাই যে এই রোগটি ছোঁয়াচে নয় অর্থাৎ একজনের শরীর থেকে অন্য জনের দেহে সংক্রমিত হতে পারে না। তবে যার শরীরে এই রোগের সংক্রমণ হয় তাদের সরাসরি ফুসফুস ও সাইনাসের ক্ষতি হয়। এছাড়া ত্বকের সমস্যা থেকে চোখের সমস্যা সবই ঘটা শুরু করে। এই রোগ হলে সত্ত্বর অ্যান্টিফাঙ্গাল ট্রিটমেন্ট শুরু করতে হবে।

Related Articles

Back to top button