নাগরিকত্ব আইন দেশে লাগু করার পক্ষে আরও একধাপ এগোল কেন্দ্র। গত মঙ্গলবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯ পেশ করলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এনআইসি অর্থাৎ ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড সম্বন্ধে ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব আইনে ১৪এ ধারায় বলা হয়েছিল। সুতরাং বলা যায়, এনআরসি ও এনআইসি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিন লোকসভায় এনআইসির নিয়ম পেশ করে এনআরসির দিকে একধাপ এগিয়ে গেল কেন্দ্র সরকার।
গত ২০০১ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ীর আমলে এনআরসি করার প্রস্তাব ওঠে। পরে ২০০৩ সালে লালকৃষ্ণ আদবানী এটি সংশোধন করেন। ২০০৪ সালে ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম এমপিএনআইসি প্রজেক্ট বাতিল করে দেন এবং তার পরিবর্তে আসে আধার। এরপর ২০১৯ সালে অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলে তা ফের চালু করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগের পুরাতন সরকারের পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপায়ণ করার কৌশল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : রাম মন্দির নির্মাণের জন্য গঠিত হয়েছে ট্রাস্ট, লোকসভায় জানালেন প্রধানমন্ত্রী
আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, তাহলে দেশে এনআরসি হচ্ছে না। চাপের মুখে পড়ে সরকার হয়তো পিছু হটেছে। কিন্তু তেমনটা ভাবার কোনও অবকাশ নেই বলেই মত বিশেষজ্ঞমহলের। তারা বলেছেন, এনআরসি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। এদিকে সরকার যে এনআরসি করবে না, এমন কথা বলা হয়নি। সরকারের তরফে এদিন সুকৌশলে আপাতত এনআরসি হচ্ছে না, এই বার্তাই মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।