ঝাড়খণ্ডের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘কয়েকজন বিশ্বাসঘাতক এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারের কারণে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছে বিজেপি।’ রাঁচির বিজেপি রাজ্য সদর দফতরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘জয়চাঁদরা সর্বত্র উপস্থিত আছে। আর এরকমই কয়েকজন জয়চাঁদের জন্যে দল আজ হেরেছে। অনেক সময় ষড়যন্ত্র সফল হয়, কিন্তু ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পাওয়া সাফল্য বেশি দিন স্থায়ী হয় না। আমি আজ লড়াই করে এই জায়গায় পৌঁছেছি। লড়াই আপনাকে শক্তি দেয়।’
উল্লেখ্য দ্বাদশ শতাব্দীর শাসক ছিলেন জয়চাঁদ, যিনি মুসলিম আক্রমণকারীদের সাথে ষড়যন্ত্র করেছিলেন যার ফলে, রাজপুত রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের পরাজয় হয়েছিল। নির্বাচনের টিকিট বিতরণ নিয়ে অসন্তুষ্টি এবং দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে। সম্প্রতি হওয়া ঝাড়খণ্ড নির্বাচনে বিজেপি মাত্র ২৫ টি আসনে জয়লাভ করেছে যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে ১৭ কম। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ৮১ আসনের এই বিধানসভায় ৪৭ টি আসন জিতেছে।
আরও পড়ুন : কংগ্রেসের মন্ত্রীসভা গঠন করতে দেরী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফিরতে পারেন অজিত পাওয়ার
বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস দুই জামশেদপুর পূর্ব বিধানসভা আসন থেকে প্রথমবারের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়াই করা তারই মন্ত্রিসভার সরযূ রাইয়ের কাছে হেরেছেন, যে আসনে রঘুবর দাস বিগত দুই দশক ধরে অপরাজিত। রঘুবর দাস আরও বলেন, ‘ওরা আমার মধ্যে কোনও ত্রুটি খুঁজে পায়নি, তাই আমাকে দাম্ভিক, অহংকারী বলে প্রচার চালিয়েছে। আমার পরিবারকে টার্গেট করা হয়েছে।’ ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ চালিয়ে নয়, কোনো ইস্যু নিয়ে নির্বাচন লড়াই করা উচিত’, তিনি বলেছেন। রঘুবর দাস প্রথম ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, যিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পাঁচ বছর সরকারের মেয়াদ পূর্ণ করেছিলেন। তিনি বলেছেন যে, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক তিনি দলের কর্মী হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবেন।