রাজৌরি: নাগরোটাকাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। সদ্য এই ঘটনায় পাক মদত স্পষ্ট হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের পাশ থেকে মিলেছে পাকিস্তানের এক কোম্পানির তৈরি ওয়ারলেস সেট এবং ওষুধ, যার স্ট্রিপে লাহোর এবং পাকিস্তানের আরও একটি জায়গার নাম উল্লেখ করা রয়েছে। এমনকি জঙ্গিদের জুতো এবং প্যান্ট দেখেও এটা স্পষ্ট যে, এই ঘটনার সঙ্গে পাক মদত স্পষ্ট। আর এই ঘটনা নিয়ে ভারতের মধ্যে যে তোলপাড় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তার মাঝেই ফের শুক্রবার গভীর রাতে রাজৌরি সেক্টরে পুনরায় বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। এতে এক ভারতীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, এদিন রাতে রাজৌরির নৌসেনা সেক্টরে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি ভারতীয় সেনারাও। এর ফলে দু’পক্ষের মধ্যে চলে গুলির লড়াই। আর তাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় সেনার হাবিলদার সংগ্রাম পাটিল।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল যে, সংঘর্ষবিরতি মেনে চলবে দুই দেশ। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ এই চুক্তি মেনে যে চলছে না, তা একাধারে স্পষ্ট। পরিসংখ্যান বলছে চলতি বছরেই ৩২০০ বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। এমন কি এক-দু’সপ্তাহের মধ্যে একাধিকবার পাকিস্তান এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হল উরির ঘটনা। যেখানে ভারত-পাকিস্তানের গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বাঙালির জওয়ান সুবোধ ঘোষ। তারপরেই বড়সড় হামলার ছক কষেছিল পাকিস্তান জম্মু-কাশ্মীরের নাগরোটায়। কিন্তু ভারতীয় সেনাদের তৎপরতায় সেই ছক বানচাল হয়ে গিয়েছে। তারপর আবার গতকাল রাতে রাজৌরি সেক্টরে এই সংঘর্ষবিরতি চুক্তি এটাই জানান দিচ্ছে যে, দেশের মধ্যে একটা উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে পাকিস্তান। তবে ভারত সরকার এর জন্য এক ইঞ্চি জমিও ইমরান খানের দেশকে ছেড়ে দেবে না, এমন হুঁশিয়ারি ইতিমধ্যেই পাক দূতাবাসের এক আধিকারিককেরল ডেকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।