ক্রিকেটারদের জীবনে প্রেমের গল্প কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয়। ক্রিকেটের ইতিহাসে যেমন কোন কোন ক্রিকেটার একের অধিক প্রেমিকার সাথে সময় কাটিয়েছেন, তেমন একাধিক ক্রিকেটার রয়েছে যারা একজনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন। তবে ক্রিকেট ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত খুবই কমই রয়েছে যেখানে কোন ক্রিকেটার নিজের বোনকে বিয়ে করেছেন। ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন বিরল ঘটনা ঘটেছিল পাকিস্তানে!
সালটা ১৯৯৬, নিজের মাসতুতোবোন (Cousin Sister) লুবনা আনোয়ারকে (Lubna Anwar) বিয়ে করেছিলেন তৎকালীন পাকিস্তানের বিধ্বংসের ওপেনার সঈদ আনোয়ার। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁদের কোল জুড়ে জন্মগ্রহণ করে এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান। সঈদ আনোয়ার তার কন্যা সন্তানের নাম রাখেন বিসমাহ আনোয়ার (Bismah Anwar)। আর এরপরেই শুরু হয় পাকিস্তানি এই ওপেনারের জীবনের ভয়ংকর ট্র্যাজেডি!
জন্মের পর থেকে সঈদ আনোয়ারের কন্যা বিসমাহ একটি মরন ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। আর তারপর থেকে এক আলাদা লড়াই শুরু হয় সঈদ আনোয়ারের জীবনে। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর রোগভোগের পর ২০০১ সালে সঈদ আনোয়ারের কন্যা বিসমাহ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এরপর নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সংগ্রাম শুরু করেন সঈদ আনোয়ার। একমাত্র কন্যার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন তিনি। দুশ্চিন্তায় ব্যাটিং করা পর্যন্ত প্রায় ভুলে যেতে বসেন পাকিস্তানের এই তারকা ক্রিকেটার। ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে একের পর এক সিরিজ থেকে বাদ পড়তে থাকেন তিনি।
অবশেষে খেলা জগতকে বিদায় জানিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্যে শুরু করেন নিজের নতুন জীবন। সঈদ আনোয়ার (Saeed Anwar) ক্রিকেট থেকে আচমকাই সরে আসেন তাবলীগি জামাতে (Tablighi Jamaat) যোগদান করেন। আগের থেকে সঈদ আনোয়ার আরও বেশি ধার্মিক হয়ে যান। এমনকি নিজের দাড়িও বাড়িয়ে ফেলেন পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার। যদিও ২০০৩ সালে পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছিলেন সঈদ আনোয়ার। তবে বিশ্বকাপ শেষ হতেই খুব শীঘ্রই নিজের ক্যারিয়ারেরও সমাপ্তি ঘটে।