পুজো আসতে হাতেগোনা আর মাত্র কটা দিন বাকি। কিন্তু এবারের পুজো একেবারে অন্য স্বাদে আসছে আমাদের সকলের কাছে। যে নৃশংস রূপ এই বছরটা আমাদের দেখিয়েছে, তাতে মা দুর্গার কাছে আট থেকে আশি সকলের বোধ হয় একটাই কামনা হবে এবার। আর সেটা হল, ‘মা তুমি এসে পৃথিবীকে করোনা নির্মূল করে দিয়ে যাও’। কিন্তু এই কামনাটাকি হবে ঘরে বসেই? নাকি ঘোরাফেরা করতে পারবেন আপনি?
রাজ্য তথা দেশে করোনা পরিস্থিতি যেভাবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, তাতে পুজোয় ঘোরাফেরাটা খুব একটা যে নিরাপদ হবে এমনটা কিন্তু নয়। বরং ডেকে আনতে পারে বিপদ। কারণ, প্যান্ডেলে একসঙ্গে এত লোক হলে তাদের কারোর মধ্যে যে কোনওরকম করোনা উপসর্গ থাকবে না, তা কি আপনি হলফ করে বলতে পারবেন? রাস্তায় যে সমস্ত স্টল দেওয়া থাকবে, সেগুলো খাওয়া-দাওয়াটাও কি খুব একটা নিরাপদ হবে? পুজো মানেই রাস্তার ফুচকা, চুরমুর, আইসক্রিম, ডিমের অমলেট থেকে শুরু করে আরও কত কী খাবার খাওয়ার একটা হিড়িক সকলের মধ্যেই চোখে পড়ে। কিন্তু এবারে সেগুলো খাওয়া কতটা নিরাপদ? আমি বলব এতটুকুও নিরাপদ নয়।
কারণ, যারা এই জিনিসগুলো বিক্রি করবেন, তারা খুব স্বাভাবিকভাবেই করোনা প্রটোকল মেনে কিন্তু এগুলো বিক্রি করতে পারবেন না। কারণ, ভিড়ে ঠাসা ক্রেতাদের সামলাতে গিয়ে করোনা বিধি মানাটা কিন্তু সম্ভব হয়ে উঠবে না। বলা হয়েছে, প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে মাস্ক পরে যাওয়াটা বাধ্যতামূলক। আবার যারা মাস্ক পরে যাবে না তাদের ক্ষেত্রে প্যান্ডেল থেকে মাস্ক বিতরণ করা হবে। এমনকি প্যান্ডেলে প্রবেশের পথে হাতে দেওয়া হবে স্যানিটাইজার। কিন্তু এই স্যানিটাইজারটা কতটা নিরাপদ? আপনি বাড়িতে যে দামি স্যানিটাইজারটা ব্যবহার করেন, আপনার কি মনে হয়, প্যান্ডেলেও আপনাকে সেই গুণমানের স্যানিটাইজার দেওয়া হবে? এটা যদি মনে হয়ে থাকে, তাহলে সেটা আপনার অলীক কল্পনা ছাড়া কিন্তু আর কিছুই নয়। সেক্ষেত্রে পুজোর পরে আপনি কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। তার সম্ভাবনা কিন্তু প্রবল।
তাহলে কি করবেন? পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরোবেন না? এবারে কি তাহলে পুজো পরিক্রমা হবে না? বাঙালি যা আবেগপ্রবণ বা বাঙালি যেরকম উৎসবমুখী, তাতে তারা ঘরবন্দী হয়ে পুজো কাটাবে এমনটা ভাবার বোধ হয় কোনও কারণ নেই। আমি নিজেও যে ঘরে থাকব, এমনটাও কিন্তু আপনাদেরকে আমি বলছি না। কিন্তু বাইরে বেরোলেও সাবধানতা কিন্তু অবলম্বন করতে হবেই। আমি বলব, যতটা পারবেন বাড়ির বাচ্চাদের বের করবেন না। বয়স্কদের তো একেবারেই বের করা উচিত হবে না। আর রইল বাকি আপনাদের কথা, তাহলে বলব যতটা বাইরে না যাওয়া যায়। বেরিয়ে পড়াটাকে এড়িয়ে চলুন। অন্তত এবছর সুস্থ থাকলে, প্রাণ থাকলে ‘আসছে বছর আবার হবে’।
এ বছর না হয় একটা মা দুর্গার মুখ দেখেই সব মা দুর্গার মুখ দেখার আশাটা পূরণ করে নেবেন। তাতে করোনার সংক্রমণটা কিন্তু আমরা অনেকটা এড়াতে পারব। মা দুর্গা নিজের দৈবিক শক্তি দিয়ে হয়তো আমাদের বাঁচিয়ে তুলবে, কিন্তু তার মানে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গা ভাসিয়ে করোনাকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করার মত বোকামি বোধ হয় আপনার করা উচিত হবে না। তাই যতটা সম্ভব পুজোতেও বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে মজা করে কাটান। বাইরে বেরোনোর হিড়িকটা না হয় পরের বছরের জন্য তোলা থাক। পৃথিবী করোনামুক্ত হলে ‘আসছে বছর আবার হবে’।
Bella Hadid is getting real about her health in a way that left fans both…
Move over karaoke stars — a parrot from Florida is stealing the spotlight with jaw-dropping…
The NYT Connections puzzle for November 15, 2025 left fans buzzing with jaw-dropping difficulty. Puzzle…
Wordle players woke up to a jaw-dropping challenge on Saturday, November 15, 2025. The viral…
Livvy Dunne is proving once again why she’s one of social media’s most viral stars.…
It’s a busy week at the movies — and one release is sparking jaw-dropping debate.…