যাত্রী কম, সরকারের ঘোষণা স্বত্ত্বেও চললো না বাস

করোনা ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে তৃতীয় দফার লকডাউন জারি হয়েছে। এই লকডাউন চলবে ১৭ ই মে পর্যন্ত। এই অবস্থায় দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে বেশ কিছু পরিষেবায় ছাড় দেওয়ার কথা…

Avatar

করোনা ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে তৃতীয় দফার লকডাউন জারি হয়েছে। এই লকডাউন চলবে ১৭ ই মে পর্যন্ত। এই অবস্থায় দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে বেশ কিছু পরিষেবায় ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল সরকার। এই তালিকায় ছিল বাস পরিষেবাও। সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, ৪ ঠা মে গ্রীন জোনে চালানো যাবে বাস। কিন্তু সরকারের ঘোষণা স্বত্ত্বেও রাজ্যের গ্রিন জোনে চললো না বাস।

সম্প্রতি রাজ্যের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, ৪ ঠা মে, সোমবার থেকে সরকারি বিধি মেনে গ্রিন জোনে বেসরকারি বাস মালিকরা জেলার মধ্যে চালাতে পারবে বাস। তবে সেক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব বিধি। যে কারণে, বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এই নির্দেশিকাকে ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। মাত্র ২০ জন যাত্রী নিয়ে একটি বাসের খরচ তুলবে বাস মালিকরা তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেয়।

যে কারণে সরকারি নির্দেশ থাকলেও সোমবার রাস্তায় নামলো না বেসরকারি বাস। রাজ্যের গ্রিন জোন এলাকার কোথাও দেখা মেলেনি বেসরকারি বাসের। করোনা সংক্রমণের তালিকায় গ্রিন জোনে থাকা ঝাড়গ্রাম জেলার বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক দিলীপ পাল জানান, ‘আমি বাড়ি থেকে প্রায় ৬০ জন বাস মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে রাজী হয়নি কেউ। ঝাড়গ্রামের মতো জেলায় সাধারণ দিনেই খুব বেশি যাত্রী হয়না। বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০ জনও যাত্রী হবে। বাস রাস্তায় নামালে তেল ও কর্মচারীদের খরচ উঠবে না। তাই ঝাড়গ্রাম জেলায় আমরা বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’