২০২৩ বিশ্বকাপের সময়সূচি ঘোষণা হতেই রীতিমতো উৎসবের মেজাজে মেতে উঠেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ক্রিকেটের ২২ গজে ভারত-পাকিস্তানের মহা যুদ্ধ দেখার আগ্রহে নিদ্রাহীন হয়ে পড়েছেন তারা। আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, আগামী ১৬ই অক্টোবর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রাউন্ডে (গুজরাটের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম) মুখোমুখি হবে এই চির প্রতিদ্বন্দী। ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এটাই হবে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার প্রথম ম্যাচ।
তবে আদৌ ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ মাটিতে গড়াবে কিনা তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সভার সিদ্ধান্তের ওপর। কারণ সরকারিভাবে অনুমোদন পেলেই তবে ভারত সফরে আসবে পাকিস্তান। ইতিমধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে ভারত সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমতি পত্র লেখা হয়েছে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটি খুবই স্পর্শকাতর বিষয় যে আমরা ভারত সফরে যাব। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে ভারতের মাটিতে পাকিস্তান বিশ্বকাপ খেলবে কিনা। আমরা ইতিমধ্যে পাকিস্তান সরকারের কাছে অনুমতি পত্র পাঠিয়েছি। সমস্ত তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর যদি পাক্ সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি প্রদান করা হয় তবেই ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে বাবর আজমরা।
আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, রাজনৈতিক কারণে মূলত দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ হয়েছে প্রায় এক দশক আগে। এরপর শুধুমাত্র বিশ্বকাপের আসরে মুখোমুখি হতে দেখা গেছে এই দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীকে। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অনুমতি পত্র পাওয়ার পর প্রশাসনিকভাবে সমস্ত তদন্ত সম্পন্ন করবে পাকিস্তান সরকার। বিশ্বকাপের জন্য যে ভেন্যুগুলি নির্বাচন করা হয়েছে তা পাকিস্তানের পক্ষে কতটা নিরাপদ সে বিষয়ে যাচাই করার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।