লকডাউনে বিক্রি বন্ধ, সোশ্যালে ভাইরাল ‘বাবা কা ধাবা’ পেল বেঁচে থাকার রসদ

উত্তর দিল্লিতে মালভিয়া নগরের শিবালিক কলোনির ঘটনা। ‘বাবা কা ধাবা’ নামে ছোট্ট একটা খাবারের দোকান চালান ৮০ বছরের কান্তা প্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী বাদামী দেবী। সকাল ৬ঃ৩০ থেকে রান্না শুরু করেন এই বৃদ্ধ দম্পতি, আবার সকাল ৯ঃ৩০ টার মধ্যে ডাল, ভাত, সবজি, পরোটা তৈরি করে ফেলেন। সব খাবারের দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। ওই ধাবার মটর পনির খুব স্পেশ্যাল। এক ব্লগার ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার দকানের ভিডিও করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ৮০ বছরের কান্তা প্রসাদ কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। জানান এই লক ডাউনে বিক্রি নেই। সারাদিনে মাত্র ৫০ টাকা আয় হয়।

মানবতার জয়গান নিয়ে আমরা ভীষণ আবেগপ্রবণ। আমরা মানুষের চোখের জল সহ্য করতে পারি না, তাই চোখের জল মোছানোর জন্য আমরা এগিয়ে যাই আবার এই আমরাই কাঁদিয়ে ফেলি। আমাদের মন ভীষণ বিচিত্র। কাঁদতে কাঁদতেই অন্যের কান্না মুছিয়ে দিই। এখানেও ঠিক সেই গল্প। ‘বাবা কা ধাবা’ এখন লম্বা লাইন।

সাধারন মানুষের পাশাপাশি বলিউডের সেলেবরাও এগিয়ে এসেছে সাহায্যের জন্য। সবাই দিল্লির বাবা কা ধাবায় গিয়ে মটর পনির চেখে দেখি বলে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেন বলিউড অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর।

অন্যদিকে অভিনেতা সুনীল শেট্টি আবেদন করেছেন ‘বাবা কা ধাবা’ তে আসার জন্য। ওঁদের হাসি মুখ ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান।

বাবা কা ধাবার ঠিকানা তাঁকে কেউ পাঠান বলে নেট জনতাকে অনুরোধ জানান অনিল কন্যা সোনম কাপুর।

রণদীপ হুডা ট্যুইট করে দিল্লীর ‘বাবা কা ধাবা’ (#BabaKaDhaba) তে আসার অনুরোধ জানান সকল নেটিজেনকে।

সেলিব্রিটি ছাড়াও আরও অনেকে এই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার খাবার দোকানের ভিডিও শেয়ার করেছেন।

সত্যি কথা বলতে, এ হল মানবতার জয়। মানুষ চাইলেই একজন কেন একশো জনের রুটি রুজি জোগাড় করে দিতে পারেন। এই মহামারীর প্রাক্কালে অনেকে কাজ হারিয়েছেন। সারা বিস্ব জুড়ে এক চরম আর্থিক অনটন চলছে। তারই মাঝে যদি কেউ বা কোন গোষ্ঠী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তবে এ হবে আদপে মানবতার জয়গান।