সাপে ভয় পান না এমন মানুষ খুবই কম। কাউকে সাপে কাটলে কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয় জেনে নিন।
ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সায়ন্তিকা দাস : পৃথিবীতে বহু প্রজাতির সাপ রয়েছে কিন্তু সাপ মাত্রই বিষধর নয়। কিছু কিছু বিষহীন সাপও রয়েছে। বিষধর সাপে কামড়ালে শরীরের মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখা যাবে। লক্ষণ গুলি হল-
১) সাপে কাটা ব্যক্তির ঘুম ঘুম ভাব আসবে এবং চোখের পাতা দুটি বন্ধ হয়ে আসবে।২) যে জায়গাটিতে সাপে কেটেছে সেই জায়গাটিতে প্রচন্ড যন্ত্রণা হতে পারে। ৩) আক্রান্ত রোগী চোখে সবকিছু ঝাপসা দেখবে। ৪) গলা বুজে আসবে এবং ঢোক গিলতে সমস্যা হবে। ৫) আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর ফুলে উঠতেও পারে।
সাপে কাটলে যা যা করা উচিত—-
সাপে কাটলে বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয় ভয়ের কারণে। রোগী মনে করে সাপে কেটেছে মানেই তার মৃত্যু অবধারিত, তাই প্রথমেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে আশ্বস্ত করা উচিত তাকে সাহস যোগানো উচিত। এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রাথমিক চিকিৎসা সেরে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সাপের দাঁত বসানো জায়গায় কিছু জীবাণুনাশক লোশন দিয়ে মুছে দিতে হবে, বা ভেজা কাপড় দিয়েও মোছা যেতে পারে।
যেখানে কামড়েছে সেই স্থান থেকে উপরের দিকে গামছা বা কাপড় দিয়ে গিঁট বাঁধতে হবে। এমন ভাবে গিঁট বাঁধতে হবে যেন খুব ঢিলে না হয় আবার খুব আঁটোসাঁটোও না হয়।
শরীরের মাংস পেশী সংকোচন করলে শরীরে তাড়াতাড়ি বিষ ছড়িয়ে যেতে পারে। এই কারণে কাটা স্থান বেশি নাড়াচাড়া না করাই ভালো।
রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় হাঁটতে দেওয়া চলবে না। তাকে কাঁধে বা স্ট্রেচারে করে নিয়ে যেতে হবে। সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যদি কোনো উপসর্গ না দেখতে পান তাহলে সেই দংশিত স্থান পরীক্ষা করতে হবে। মনে করা হয় সাপের দুটো দাঁতের চিহ্ন যদি পরিষ্কারভাবে দেখা যায় তাহলে সেটি বিষধর সাপ।তবু পরিষ্কার চিহ্ন নেই, এর মানে যে সাপটি বিষধর নয় এমন মনে করাও ভুল।
কখনো কখনো কামড়ানো স্থানে সেই চামড়ার রঙ বদলে যেতে থাকে। জায়গাটা ফুলে যেতে পারে। বা ফোসকা পড়তে পারে। পচন ধরতেও দেখা যায়। আবার এই পরিবর্তনগুলো না থাকতেও পারে।
সাপে কাটলে যা যা করা উচিত নয়—
১) খুব ধারালো ছুরি দিয়ে দংশিত স্থান কেটে রক্তক্ষরণ করাটাও উচিত নয়। ২) খুব শক্ত করে একাধিক জায়গায় গিঁট দেওয়া চলবে না। ৩) বমি করানোর জন্য নানা চেষ্টা করানো চলবে না। ৪) দংশিত জায়গায় কোনো অ্যাসিড দিয়ে পোড়াবেন না।