নয়াদিল্লি: সাধারণত অনেকের পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখে জল আসে। কিন্তু এবার পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে নয়, পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে মধ্যবিত্তের চোখে জল আসবে। পেঁয়াজের দাম কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে। কিলো প্রতি পেঁয়াজের দাম ১৩০ টাকা। যার ফলে হেঁসেল সামলাতে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত পড়েছে।
উৎপাদন আর চাহিদার মধ্যে একটা ফারাক থেকে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে যে দেশে পেঁয়াজ উৎপন্ন হয় মূলত নাসিক, আহমেদনগর, পুণে, ধুলে, শোলাপুরে। মহারাষ্ট্রের এই জায়গাগুলো বাদ দিলে পড়ে থাকে কর্নাটক, গুজরাত, বিহার, মধ্যপ্রদেশ আর অন্ধ্রপ্রদেশ। দেখা গিয়েছে, যে এর মধ্যে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক আর অন্ধ্রপ্রদেশের একরের পর একর জমি চলতি বছরে ভারি বর্ষণে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। সেখানে উৎপাদনের আপাতত কোনও আশা নেই।
এছাড়াও বন্যা পরিস্থিতিতে যেটুকু পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল, সেটুকুও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না পেঁয়াজ। যার ফলে কিলো প্রতি পেঁয়াজের দাম কার্যত আকাশছোঁয়া। একেই করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের অধিকাংশ মানুষই এখন কর্মহীন। আর সেখানেই পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে যদি নাজেহাল হতে হয়, তাহলে খুব সমস্যা এমনটাই মধ্যবিত্তদের একাংশ মনে করছে।
বুধবারের বাজার দর অনুযায়ী খোলা বাজারে পেঁয়াজের দাম কম -বেশী ৫১/৫২ টাকা। যা গত বছরের তুলনায় ১২.১৩ শতাংশ বেশী। গত বছর পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৬/৪৭ টাকা কিলোপ্রতি। অন্যদিকে, এদিন হায়দরাবাদ এবং চেন্নাইতে পেঁয়াজের কিলো ১৩০ টাকা ছিল। আর উৎসবের মুখে পেঁয়াজের এত চড়া দাম হওয়াতে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত পড়েছে।














A$AP Rocky Appears to Confirm Marriage to Rihanna, Calls Himself a ‘Loving Husband’