Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

Pfizer Vaccine: দেশে আসছে ফাইজারের ভ্যাকসিন, কারা নিতে পারবেন এই ভ্যাকসিন?

Updated :  Thursday, May 27, 2021 9:41 PM

করোনা ভাইরাস বা সার্স-কোভ-২ কে যদি একেবারে রুখতে হয়, তাহলে ভ্যাকসিনেশন করতেই হবে। নাহলে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ ভারতের পক্ষে ঠেকানো সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে ভারতের হাতে রয়েছে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন। এই দুটি ভ্যাকসিনকে সঙ্গী করে বর্তমানে ভ্যাক্সিনেশন চলছে ভারতে। সম্প্রতি জানা গিয়েছিল ভারতকে সাহায্য করতে রাশিয়া তাদের স্পুটনিক’ ভি ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। তবে সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভারতের হাতে এবারে আসতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বানানো করোনা টিকা, যা তৈরি করেছে মার্কিন সংস্থা ফাইজার। নীতি আয়োগের সদস্য আজ একটি বিবৃতিতে এই কথাটি আমাদের জানিয়েছেন।

ফাইজারের এই টিকার দাবি, ১২ বছরের বেশি সমস্ত মানুষ এই টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। ২ থেকে ৮ ডিগ্রী তাপমাত্রায় এই টিকা মোটামুটি ১ মাসের জন্য সংরক্ষিত করে রাখা যাবে। ভিকে পাল বললেন, “আমরা ফাইজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের থেকে যা জানতে পেরেছি তাতে ভ্যাকসিন আগামী মাসের মধ্যে চলে আসছে আমাদের হাতে। তবে হয়তো সামনের মাসের মধ্যে বেশি না এলেও জুলাই মাসের মধ্যে সিংহভাগ ভ্যাকসিন আমাদের হাতে আসছে। সরকার সমস্ত রকম ভাবে চেষ্টা করছে যাতে আরও বেশি করে টিকা তৈরি করা সম্ভব হয়। এছাড়াও আরও তিনটি সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি টিকা কোভ্যাকসিন এবারে তৈরি করবে। ভারত বায়োটেক জানাচ্ছে এর ফলে ভারতে তাদের টিকার উৎপাদন ৬.৫ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১১ কোটি করা যাবে।”

ভিকে পাল বললেন, ফাইজারের টিকা ভারতে আসছে, এই খবরটি পাওয়ার পর থেকেই ভারত সরকার মার্কিন সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি এর ওপরে গবেষণা চলছে। ভারতে এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে বলেও খবর। তিনি জানিয়েছেন, দেশে প্রত্যেক দিনে ১ কোটি ডোজ টিকাকরণ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে ভারত সরকার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত সর্বাধিক একদিনে ৪৩ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

ভারতের হাতে বর্তমানে তিনটি টিকা থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকার সবসময় চেষ্টা করছে যেন আরও বেশিসংখ্যক টিকা ভারতে আসে। সম্প্রতি জানা গেছে করোনা ভাইরাস থেকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ভারতে আসছে রচের তৈরি অ্যান্টিবডি মেডিসিন ককটেল। ভারতের সিপ্লার সঙ্গে জোট বেঁধে রচে ইন্ডিয়া এই মেডিসিন তৈরি করছে। তার সাথে ভ্যাকসিন হিসেবে বর্তমানে ভারতে রয়েছে ভারত বায়োটেক, সেরাম ইনস্টিটিউট এবং রাশিয়ার ভ্যাকসিন, যথাক্রমে কোভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড এবং স্পুটনিক ভি। এমারজেন্সি ড্রাগ হিসেবে কাজে লাগছে 2-DG। অপরপক্ষে, এবারে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় নতুন ভ্যাকসিন হিসেবে আসছে মার্কিন সংস্থা ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন। সব মিলিয়ে এটা স্পষ্ট ভারত সরকার করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে একেবারে প্রস্তুত।