রাজ্যে প্রথম কলকাতাতে করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছিলো। তারপর ক্রমেই সংখ্যাটা বেড়েছে। সেই প্রথম দিকের করোনা আক্রান্তদের নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছিল। বিদেশ থেকে এসেও করোনা পরীক্ষা না করে ঘুরে বেরিয়েছে সারা শহরে। তবে শুধু যে অসচেতনতার ছবি ধরা পড়েছিল তা নয়। সচেতনতার কিছু পরিচয় দিয়েছেন রাজ্যের মানুষ।
হাবড়ার এক তরুণী বিদেশে পড়তে গিয়েছিলেন, সে কলকাতায় ফিরেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসলে কিছুদিন চিকিৎসার পর সে সুস্থ হয়ে ওঠে। এবার সেই হাবড়ার তরুণী রাজ্যের প্রথম প্লাজমা-দাত্রী হিসাবে নাম লেখাতে চলেছেন।
কেরলে প্রথম প্লাজমা থেরাপি শুরু হয়েছিল। তারপর দিল্লিতে ও প্লাজমা থেরাপি ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গের পালা। আগামী সপ্তাহ থেকেই এই পরীক্ষা হবে বলে জানা গেছে। তবে এই প্লাজমা দিতে পারবেন সেই ব্যক্তি যিনি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
তাই প্লাজমা দেবার জন্য নিজের থেকে ইচ্ছেও আনতে হবে। হাবড়ার সেই তরুণীকে প্লাজমা দেবার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি একেবারেই রাজি হয়ে যান। ২৩ এপ্রিল রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা তাঁর সাথে যোগাযোগ করেন। তাই সেই তরুণী প্রথম রাজ্যের প্লাজমা দানকারী হিসাবে নাম লেখাতে চলেছেন।