শ্রেয়া চ্যাটার্জি : বর্তমানে পৃথিবীর একটা প্রধান সমস্যা হল প্লাস্টিক দূষণ। প্লাস্টিকের জিনিস পত্রের পৃথিবী একেবারে ছেয়ে গেছে। যেখানেই তাকানো যায় সেখানেই চোখে পড়ে প্লাস্টিক। প্লাস্টিক পরিবেশ বান্ধব নয়, তাই প্লাস্টিক সহজে মাটির সঙ্গে মেশে না। তার ফলে ভূমি দূষণ ছড়াচ্ছে। পরোক্ষভাবে জলের ঘাটতি বাড়িয়ে দিচ্ছে। কারণ এই প্লাস্টিকের একটা স্তর মাঠের মধ্যে এমন ভাবে মিশে থাকছে যে কারণে বৃষ্টির জল মাটি ভেদ করে ভেতরে পৌঁছতে পারছে না, ভৌম জলের অভাব হচ্ছে, যার ফলে জলের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। কিন্তু এই প্লাস্টিক দূষণ রুখতে একটি ছোট পোকা আমাদের সাহায্য করতে পারে এমনটাই বিশেষজ্ঞদের অনুমান। সেটি হল শুঁয়োপোকা। শুঁয়োপোকা আমাদের কতই না ভাল কাজে লাগে, এর থেকে তৈরি হয় প্রজাপতি যেটি পৃথিবীর সুন্দর প্রাণী, পতঙ্গের মধ্যে একটি অন্যতম। আবার এই শুঁয়োপোকার গুটির সুতো থেকে তৈরি হয় রেশম।
কানাডার ব্র্যান্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টোফে লেমইনে বলেন, এই শুঁয়োপোকা গুলি প্লাস্টিক কে মাটির সঙ্গে মিশতে অনেকটা সাহায্য করবে। এই ধরনের পোকা অনেক বেশি উৎপাদন করা উচিত, যার ফলে এগুলি প্লাস্টিক কে নষ্ট করতে সাহায্য করে। যার ফলে পৃথিবীর প্লাস্টিক দূষণ অনেকটাই বন্ধ হতে পারে।
প্লাস্টিক দূষণ পৃথিবীর একটি অন্যতম সমস্যায় দাঁড়িয়েছে। প্লাস্টিক এমন একটি জিনিস যা কোনোভাবেই পরিবেশের সঙ্গে মেশে না। স্থলে, জলে সমুদ্রের সব জায়গায় এখন প্লাস্টিক দূষণে বিপর্যস্ত পশুপাখি, মাছ, সামুদ্রিক জীব জন্তু। পৃথিবী কে পুরোপুরি প্লাস্টিক মুক্ত করা একেবারেই সম্ভব না। তাই প্লাস্টিকের তৈরি এই জিনিসপত্র গুলিকে যদি পুনর্বার অন্য ভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে পৃথিবী খানিকটা প্লাস্টিক দূষণ থেকে মুক্ত হতে পারে। প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করতে অনেকেই অনেক রকম চেষ্টা করছেন কেউ প্লাস্টিক থেকে বানাচ্ছেন পেট্রোল, কেউ বা প্লাস্টিকের তৈরি পাত্রে লাগাচ্ছেন গাছ। তবে এমন শুঁয়োপোকা যদি সত্যি হয়ে থাকে যে প্লাস্টিক একেবারে নির্মূল করে দেবে তাহলে তো হয়েই গেল। পৃথিবী আবার আগের মতন সুন্দর হয়ে উঠবে।