দিনের পর দিন প্রধানমন্ত্রী কিষান নিধি যোজনার টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করার করার বিষয়টি জটিল হয়ে উঠছে। ভুল তথ্য প্রদান করে অনেকেই আদায় করে নিচ্ছেন এই যোজনার টাকা। আবার যোগ্য কৃষকরা সঠিক নথির অভাবে প্রধানমন্ত্রীর এই যোজনা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ‘কিষাণ , নিধি’ যোজনার মাধ্যমে রাজ্য তথা দেশ মিলিয়ে সর্বমোট ১২ কোটি কৃষক উপকৃত হচ্ছেন। বছরে তিনবার ২০০০ টাকা করে পাচ্ছেন প্রত্যেক কৃষক।
নিবন্ধের শুরুতে আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই যোজনায় ১২ কোটি কৃষকের নাম নথিভুক্ত করা থাকলেও গত মাসে যে ১৫তম কিস্তি প্রদান করা হয়েছে, তাতে ৮.৫ কোটি কৃষকের একাউন্টে ১৭,০০০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে বিশেষ কারণবশত ৩.৫ কোটি কৃষকের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকলেও এই সুবিধা লাভ করতে পারেনি। কিন্তু কেন সাড়ে তিন কোটি কৃষক বঞ্চিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প থেকে? চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
প্রধানমন্ত্রীর কিষান নিধি যোজনার টাকা পেতে হলে সরকারের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে কৃষকদের। অনেকেই এই প্রকল্পে আবেদন করার সময় ভুল নথি প্রদান করেছেন। এবার সেই সমস্ত কৃষকদের নথি যাচাই বাছাই করবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দল। প্রদান করা তথ্যের ভিত্তিতে ওই কৃষকের জমির পরিমাণ যাচাই-বাছাইয়ের পর টাকা প্রদান করবে কেন্দ্র সরকার। এছাড়া, প্রত্যেকটি কৃষককে সঠিক তথ্য দিয়ে ব্যাংকে KYC করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সরকারি দপ্তর থেকে।
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কৃষাননিধি যোজনার সুবিধা পেতে হলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে চলতে হবে কৃষকদের। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হল সঠিক সময়ে ekyc প্রদান। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যদি কোন কৃষক আগামী ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি কোন কৃষক না করেন, তবে প্রধানমন্ত্রী কৃষাননিধি যোজনার ১৬তম কিস্তির টাকা থেকে বঞ্চিত হবেন তিনি।