নয়াদিল্লি: দেশে যেভাবে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে, তাতে পুনরায় লকডাউন হওয়ার একটা জল্পনা দেখা দিয়েছে। বলা যায় এক কোটির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে করোনার সংক্রমণ। এমন সময়ে আগামী বছরের শুরুতেই দেশে করোনা ভ্যাকসিন চলে আসবে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তবে শুধু তিনিই নন, সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদার পুনাওয়ালাও দাবি করেছেন যে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই ব্রিটেনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড ভারতের বাজারে চলে আসবে। সেক্ষেত্রে কীভাবে সরবরাহ করা হবে, কাদেরকে সবচেয়ে প্রথমে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, এই সমস্ত কিছু বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এই পর্যালোচনা বৈঠকে বসার কথা টুইট করে জানিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তিনি টুইট করে লিখেছেন, ‘এই পর্যালোচনা বৈঠকে ভ্যাকসিনে অগ্রাধিকার, হিমঘরের পরিকাঠামো, ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তির প্ল্যাটফর্ম নিয়ে বৈঠক হয়েছে।’ এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনা এবং উৎপাদন বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে এই বৈঠকে। এমনকি ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং অনুমতি দানের ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
Held a meeting to review India’s vaccination strategy and the way forward. Important issues related to progress of vaccine development, regulatory approvals and procurement were discussed. pic.twitter.com/nwZuoMFA0N
— Narendra Modi (@narendramodi) November 20, 2020
Reviewed various issues like prioritisation of population groups, reaching out to HCWs, cold-chain Infrastructure augmentation, adding vaccinators and tech platform for vaccine roll-out.
— Narendra Modi (@narendramodi) November 20, 2020
তাহলে কি সত্যি করোনার ভ্যাকসিন আগামী বছরের শুরুতেই আসছে? যদি এসে থাকে, তাহলে কেন গোটা দেশ জুড়ে ফের লকডাউনের জল্পনা উঠেছে? এই সমস্ত প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া যাবে আগামী বছরের গোড়াতেই। ততক্ষণের জন্য অপেক্ষা এটাই যে, ভ্যাকসিন কবে আসবে?