নয়াদিল্লি: বিহারে নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন নীতীশ কুমারের জয়ের পর বিহারবাসীদের ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি নাম না করে বাংলাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এবার জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নাম না করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনকে বিবেক পাঠ করালেন মোদি।
এদিন জেএনইউ-তে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নতুন কৃষি আইন এবং জাতীয় শিক্ষানীতির পাশাপাশি বলেছেন, কোনও মতাদর্শ দেশের থেকে বড় হতে পারে না। সাধারণত বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় জেএনইউম যদিও সেখানে বেশ কয়েক বছর ধরে সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবং বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। তবুও আজও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের আলাদা একটা জায়গা রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে, এমনটা বলাই বাহুল্য।
আর সেখানেই ইয়ুথ আইকন স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশহিতের চেয়ে মতাদর্শ কখনোই অগ্রাধিকার পেতে পারে না। মতাদর্শ রাষ্ট্রের সঙ্গে থাকা উচিত। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়। দেশের প্রতি অগাধ সমর্থন ও একাত্মীকরণই অনুপ্রাণিত করবে স্বামীজীর এই মূর্তি।’ এভাবেই নাম না করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের বিবেক চেতনা জাগালেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। সাড়ে এগারো ফুটের স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিকে উন্মোচন করা হয়। এদিন জয় শ্রীরাম স্লোগানের সঙ্গে কার্যত জেএনইউ ক্যাম্পাস ভরে ওঠে।